ব্যবধান মাস দুয়েকের। কাশ্মীরে ফের শহিদ হলেন এ রাজ্য়ের এক জওয়ান। রবিবার তাঁর মরদেহ আসবে শিলিগুড়ির বাড়িতে। এলাকায় শোকের ছায়া শহিদ জওয়ানের নাম সুভাষ থাপা। বাড়ি, শিলিগুড়ির পাণিঘাটায়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টে কর্মরত ছিলেন তিনি। কর্মসূত্রে থাকতেন কাশ্মীরে। সেনাবাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার জম্মু-কাশ্মীরের নৌশেরা সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে যখন টহল দিচ্ছিলেন সুভাষ, তখনই তাঁর শরীরে স্প্রিন্টারের আঘাত লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তড়িঘড়ি ওই জওয়ানকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। রাতে হাসপাতালে মারা যান গোর্খা রেজিমেন্টের জওয়ান সুভাষ থাপা। এদিকে তাঁর মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই শোকের ছায়া নেমেছে শিলিগুড়ির পাণিঘাটায়,শহিদ জওয়ানের পাড়ায়। জানা গিয়েছে, রবিবার সেনাবাহিনীর বিমানে সুভাষ থানার দেহ পৌঁছবে শিলিগুড়ির বাগডোগরা বিমানবন্দরে। বিমানবন্দর থেকে শোকমিছিল করে দেহ নিয়ে যাওয়া হবে পাণিঘাটায়। কালই শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে শহিদ জওয়ানের।
আগস্ট মাসেই কাশ্মীরে পাক-সেনার সংঘর্ষবিরতির ঘটনায় শহিদ হয়েছিলেন আলিপুরদুয়ারের রাজীব থাপা। আলিপুরদুয়ারের কালচিনির ব্লকের মেচপাড়া চা-বাগানে থাকতেন তিনি। সুভাষের মতোই রাজীবও সেনাবাহিনীর গোর্খা রেজিমেন্টেরই জওয়ান ছিলেন। সেবার নৌশেরা সেক্টরেই নিয়ন্ত্রণ রেখার বরাবর গুলি চালাতে শুরু করেছিল পাক-সেনারা। পাল্টা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। দুইপক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলে বেশ কিছুক্ষণ। ভোরের দিকে গুলিবিদ্ধ হন রাজীব। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পাক সেনার সংঘর্ষ বিরতির কারণেই কী প্রাণ গেল শিলিগুড়ির সুভাষ থাপার? বিষয়টি এখনও পরিষ্কার নয়। জানা গিয়েছে, রবিবার তাঁর মৃতদেহ নিয়ে বাগডোগরা বিমানবন্দরে আসতে পারেন সেনাবাহিনীর পদস্থ কর্তারা। তখনই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।