পায়রা চোর সন্দেহে নাবালক স্কুল পড়ুয়াকে বাড়িতে আটকে রেখে গণধোলাই। চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের লালগোলা।
চরম অমানবিক! পায়রা চোর সন্দেহে নাবালক স্কুল পড়ুয়াকে বাড়িতে আটকে রেখে গণধোলাই। চরম অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের লালগোলা। নিছক পায়রা চোর সন্দেহে বছর চোদ্দর নাবালক স্কুলপড়ুয়াকে বাড়িতে আটকে রেখে গন ধোলাইয়ের অভিযোগ উঠল ঐ বাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। পরে ওই কিশোরকে লালগোলা থানার অন্তর্গত রাজবাড়ী সংলগ্ন কলকলি নদীর পাশ থেকে জখম অবস্থায় স্থানীয়রা দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে। ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
ঘটনার পর ওই নাবালক রাজ শেখের পরিবার অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছেন। প্রসঙ্গত, স্থানীয় চামাপাড়া এলাকার এক মাদ্রাসার নবম শ্রেণীর ঐ ছাত্র সঙ্গে তার কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে লালগোলা সবজি বাজার সংলগ্ন একটি বাড়ি থেকে গভীর রাতে পায়রা চুরি করতে যায় বলে অভিযোগ। বাড়ির সদস্যদের তাড়া খেয়ে রাজের সঙ্গে থাকা তার বন্ধুরা পালিয়ে যেতে পারলেও রাজ ঐ বাড়ির মালিক কাজল শেখের হাতে ধরা পড়ে যায়। এর পরেই কাজল শেখ সহ ঐ বাড়ির আরও কয়েকজন ওই নাবালকের ওপর চড়াও হয়ে তাকে বেদম প্রহার করে বলে অভিযোগ।
দীর্ঘক্ষন কেটে যাওয়ার পরেও ওই কিশোর বাড়ি না ফেরায় তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এর পরেই তার মা চামেলি বিবির কাছে খবর এসে পৌঁছায় তার ছেলেকে কেউ পায়রা চোর সন্দেহে আটকে রেখে বেদম প্রহার করেছে। সেইমতো ওই কিশোরের মা কাজল শেখের বাড়িতে এসে হাজির হয় তার ছেলেকে ফিরে পাওয়ার জন্য। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সময় কেটে গেলেও তার ছেলেকে না পেয়ে সেখান থেকে বাধ্য হয়ে ফিরে যেতে হয় রাজের মা চামেলি বিবিকে।
তারপরেই রাজবাড়ী সংলগ্ন কলকলি নদীর পাড় থেকে ঐ কিশোরকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ফলে সুবিচারের আশায় এখন চেয়ে রয়েছে নিগৃহীত ওই নাবালকের পরিবার। ঘটনায় রাজের মা চামিলি বিবি বলেন," এইভাবে আমার ছেলেকে চোর সন্দেহে সারারাত বাড়িতে আটকে রেখে যারা মারধর করল, তাদের যথাযথ শাস্তি চাই"।