ফের আত্মঘাতী নার্সিং পড়ুয়া, বর্ধমানে হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ

 

  • সরকারি নার্সিং স্কুলের হস্টেলে আত্মঘাতী এক পড়ুয়া
  • হস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
  • ঘর থেকে একটি সুইসাইড উদ্ধার করেছে পুলিশ
  • ঘটনায়  চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে
     

Tanumoy Ghoshal | Published : Nov 18, 2019 11:05 AM IST

কলকাতার পর এবার বর্ধমান। সরকারি নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে ফের আত্মহত্যা করলেন পড়ুয়া। সোমবার সকালে হস্টেলের ঘরেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান সহপাঠীরা। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে। 

মৃতার নাম রিয়া দাস।  বাড়ি, বাঁকুড়ায়।  বর্ধমান শহরের একটি সরকারি নার্সিং স্কুলের প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। নার্সিং স্কুলের হস্টেলে থেকেই পড়াশোনা করতেন রিয়া। সহপাঠীরা জানিয়েছেন, সকালে রিয়ার আচরণে কোনও অস্বাভাবিকতা ছিল না। এমনকী, সকলের সঙ্গে বসে জলখাবারও খান তিনি।  কিন্তু বাকীরা যখন ক্লাস চলে যান, তখন হস্টেলের নিজে ঘরেই ছিলেন ওই নার্সিং পড়ুয়া।  হস্টেলের আবাসিকদের দাবি, ক্লাস করে হস্টেলের ফিরে দেখেন, রিয়ার ঘরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ।  ডাকাডাকি করেও তাঁর আর কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি।  ভয়ে তখন চিৎকার করতে শুরু করেন রিয়ার সহপাঠীরা।  শেষপর্যন্ত ঘরের দরজা ভেঙে রিয়া দাসের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেন নার্সিং হস্টেলের কেয়ারটেকার।  হস্টেলের ঘর থেকে একটি সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে।   হস্টেলের আবাসিকদের দাবি,  প্রথমে সুইসাইড নোটটি নাকি ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিলেন হস্টেলের কেয়াটেকার। কিন্তু তাঁদের তৎপরতায় শেষপর্যন্ত তা করতে পারেননি তিনি। 

কী লেখা ছিল সুইসাইড নোটে?  মৃতার সহপাঠীদের বক্তব্য, সুইসাইড নোটে রিয়া লিখে গিয়েছেন, 'নার্সিং স্কুলের পরিকাঠামো ঠিক নয়। পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছি না।'  উল্লেখ্য,  শনিবার সকালে কলকাতার ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের নার্সিং হস্টেল থেকে এক ছাত্রী ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।  মৃত্যুর আগে তিনিও একটি সুইসাইড নোট লিখে রেখে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, কোচবিহারের বাসিন্দা ওই তরুণী বরাবরই বাংলা মাধ্যমে পড়াশোনা করেছেন। কলকাতায় নার্সিং পড়তে এসে ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠনের সঙ্গে মানিতে নিতে পারছিলেন না তিনি। গ্রাস করেছিল মানসিক অবসাদ। অবসাদের আত্মহত্যা করেছেন ওই ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের ওই পড়ুয়া। 

 

Share this article
click me!