মার্জিন বাড়ানোর জন্য শাসকদল কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। বৃহস্পতিবারের সভামঞ্চে কংগ্রেসের পাঁচবারের বিধায়ক মইনুল হক সহ আরও বেশ কয়েকজন শাসকদলে যোগ দেবেন।
মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জে বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিমুহূর্তে বদলে যাচ্ছে ভোটের রণকৌশল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়ে ভোট প্রচারে বৃহস্পতিবার বিকেলে আসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তারপরেই শুরু হবে ঘোর 'রাজনৈতিক খেলা' (defeat opposition) বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। সে দিকেই চেয়ে রয়েছে সকলে।
বিশেষ সূত্র মারফত জানা যায়, এদিন প্রথমে তিনি সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে সভা করবেন। সেখান থেকে জঙ্গিপুরে আসবেন। দুই জায়গাতেই স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কর্মসূচি পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। স্থানীয় অল্প সংখ্যক কর্মী ও সমর্থক নিয়ে সভা করা হবে।
জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমান এদিন সাংবাদিকদের জানান, প্রত্যেকটি সভা স্বাস্থ্যবিধি মেনে করা হচ্ছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাতেও তেমনটাই করা হবে। অন্য সময় হলে মাঠ উপচে পড়ত। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য বড় জমায়েত করা হবে না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’টি বিধানসভা কেন্দ্রেই তারা প্রচারে ঝড় তুলে দিয়েছে। ফিরহাদ হাকিম, সায়নী ঘোষরা ইতিমধ্যেই সভা করে গিয়েছেন। দেব, জুন মালিয়া ও রাজ চক্রবর্তীর মতো সেলিব্রিটিরাও প্রচারে আসবেন। মার্জিন বাড়ানোর জন্য শাসকদল কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে। বৃহস্পতিবারের সভামঞ্চে কংগ্রেসের পাঁচবারের বিধায়ক মইনুল হক সহ আরও বেশ কয়েকজন শাসকদলে যোগ দেবেন।
অন্যদিকে ভোট ময়দানে কংগ্রেস বারবার অবস্থান বদল করায় দলের কর্মীরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এদিনের তৃণমূলের এই হেডলাইট প্রচারকে কটাক্ষ করে জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকার কংগ্রেসের নেতা মহফুজ আলম ডালিম বলেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী ভোটপ্রচারে যাবেন। আপাতত তাঁর দু’টি সভা করার কথা রয়েছে।
আরও জানা গিয়েছে, সামশেরগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিধানসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত হাত শিবিরের সংগঠন যথেষ্টই মজবুত ছিল। লোকসভা নির্বাচনে তারা এগিয়েও ছিল। কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্য জুড়ে তৃণমূল ঝড় বয়ে যাওয়ার পর এখানেও কংগ্রেস ঘর ভেঙে যায়। দলের কর্মীরা অনেকেই শাসকদলের দিকে ঢলে যায়।
এক কংগ্রেস নেতা বলেন, এবারের নির্বাচনে দল যথেষ্টই ভালো ফল করতে পারত। এদিকে সামশেরগঞ্জ ও জঙ্গিপুরে শাসকদলের কোন্দল নেতাদের বিধানসভা নির্বাচনের আগে চিন্তায় রেখেছে। প্রার্থীদের বিরোধী গোষ্ঠীর নেতারাও সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। জঙ্গিপুরের প্রার্থীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের টানাপোড়েন ছিল পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলামের। মোজাহারুল বলেন, ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই প্রচার শুরু করে দেওয়া হয়েছে। দলকে রেকর্ড ভোটে জেতানোই উদ্দেশ্য।
জাকির হোসেন বলেন, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়ছে। কোথাও কোনও দ্বন্দ্ব নেই। রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা আখরুজ্জামান মির্জাপুরের সভা থেকে বলেন, বিপুল মার্জিনে জিতে জঙ্গিপুরের প্রার্থী সব রেকর্ড ভেঙে দেবে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই মুর্শিদাবাদে দুটি কেন্দ্রের জয় নিশ্চিত হবে।