রামপুরহাটেও 'ভাইপো অভিষেক' কাঁটা, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে তৃণমূলে বিতর্ক

গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে সামনে এসেছে একটি অডিও কথোপকথন। সেখান থেকেই পরিস্কার রামপুরহাট বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোকে নিয়েই ফেসবুক তরজা চলছে।

Saborni Mitra | Published : Jul 6, 2022 4:25 AM IST / Updated: Jul 06 2022, 10:32 AM IST

দলের বিরুদ্ধে ফেসবুকে তৃণমূল নেতার পোষ্ট এবং পাল্টা পোষ্টকে ঘিরে সরগরম অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমের প্রাণকেন্দ্র রামপুরহাট শহর। দুজনেই নিজের করা পোষ্ট তুলে নিলেও তাদের পোষ্ট সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরপাক খাচ্ছে। এরপরেই গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে সামনে এসেছে একটি অডিও কথোপকথন। সেখান থেকেই পরিস্কার রামপুরহাট বিধায়ক আশিস  বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপোকে নিয়েই ফেসবুক তরজা চলছে। 

দিন দুয়েক আগেই রামপুরহাট ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি পান্থ দাস ফেসবুকে একটি পোষ্ট করেছিলেন। তাতে লিখেছিলেন ‘গর্বিত আমি। ছাত্র অবস্থায় হাতে খড়ি স্যারের মাধ্যমে। ভাইপো কত লুটের মালিক এটাও বড্ড জানতে ইচ্ছে হয়’। এই লেখার পর রামপুরহাট বিধায়ক, বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি পোষ্ট করেন। তাতে লেখা হয়েছে, ‘আমি মুখ খুললে অনেকের প্যান্ট খুলে যাবে...। দয়া করে মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না”। 

পান্থ দাসের পোষ্টে স্যার কিংবা ভাইপোর পরিচয় উল্লেখ না থাকলেও পরদিন একটি অডিওর কথোপকথন থেকে মনে করা হচ্ছে স্যার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কথোপকথন পান্থর সঙ্গে আশিসবাবুর গাড়ির চালকের মধ্যে হয়েছে বলে মনে করছেন শহরের মানুষ। বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় হতেই দুজনেই তাদের পোষ্ট তুলে নিয়েছেন। ভুল স্বীকার করে পান্থ লিখেছেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে স্যার শুরু, স্যারই শেষ। ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি যদি অচেতন মনে কিছু ভুল মন্তব্য করে থাকি’। 

তবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে কিছু বলতে চাননি পান্থ দাস। মুখ খোলেননি আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “যিনি অভিযোগ করছেন তাকেই প্রমাণ করতে হবে আমি লুটের টাকার মালিক। তবে আমি জোর গলাই বলছি আমি কোনদিন অসৎ উপায়ে টাকা উপার্জন করিনি”। নিজের পোষ্ট সম্পর্কে অভিষেক বলেন, “ওটা নিছকই। আমি কাউকে উদ্দেশ্য করে বলিনি”।

বাগটুই ঘটনার পর থেকেই বীরভূমে সামনে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব। আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের দূরত্ব যতদিন যাচ্ছে ততই প্রকট। অন্যান্য স্থানীয় নেতাদের মধ্যেও বাড়ছে দূরত্ব। যা একাধিকবার সামনে এসেছে। আর তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা যে দূর্ণীতির সঙ্গে জড়িত তাও স্পষ্ট হয়েছে দলীয় নেতাদের বক্তব্যের মাধ্যমে। যা নিয়ে মাঝে মাঝেই উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেন দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। 

আরও পড়ুনঃ

একদম নিশ্চিহ্ন ক্যান্সার, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ মহিলা কঠিন অভিজ্ঞতা জানালেন

সিগারেট হাতে কালী- মহুয়ার মন্তব্যের দায় নিল না তৃণমূল, দিলীপ বললেন হিন্দু ধর্মকে অপমান করা হচ্ছে

রাজ্যের একের পর এক বিস্ফোরণ, অমিত শাহকে চিঠি লিখে NIA তদন্তের দাবি শুভেন্দুর
 

Read more Articles on
Share this article
click me!