সংক্ষিপ্ত

শুভেন্দু অধিকারী বলে ২৪ হাজার কেটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৮১ হাজার টুকরো ডিটোনেটর গত সপ্তাহে বীরভূম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যা গোটা বীরভূমকেই উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।

মুর্শিদাবাদের ডোমকলে বিস্ফোরণ নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি লিখলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি গোটা ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েও তিনি এই কথা জানিয়েছেন। শুভেন্দু আরও বলেছেন, বীরভূম থেকে মুর্শিদাবাদে বিস্ফোরক নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। বিপুল পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও জিলেটিন স্টিক উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

শুভেন্দু অধিকারী বলে ২৪ হাজার কেটি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও ৮১ হাজার টুকরো ডিটোনেটর গত সপ্তাহে বীরভূম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। যা গোটা বীরভূমকেই উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরণ কাদের মারফত পাচার হয়েছিল আর কোথা থেকে এল তা জানতেই তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের ডোমকলের বাঘারপুর রমনা এলাকায় বিস্ফোরণ হয়। বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। এই বিস্ফোরণে নিহত হয় এক যুবক। যুবকের সঙ্গে থাকা এক ব্যকতি আহত হয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ বোমা বাঁধতে গিয়েই  বিস্ফোরণ হয়। পুলিশও ঘটনাস্থল থেকে বেশ কয়েকটি তাজা বোমা উদ্ধার করে। 


মুর্শিদাবাদের এই বিস্ফোরণকে কেন্দ্র করে আগেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। সিপিএম-এর দাবি নিহত আর আহত দুই যুবকই স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী হিসেবে পরিচিত। একই মত বিজেপিরও। যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দাবি জমি বিবাদকে কেন্দ্র করেই এই বিস্ফোরণ। তারই মধ্যে শুভেন্দু অধিকারীর এই চিঠি যে যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ণ তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। কারণ এই চিঠির মাধ্যমে সরাসরি না হলেও পরেক্ষে তিনি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। 

অন্যদিকে শুধু ডোমকলের বিস্ফোরণ নয় শুভেন্দু তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া মুর্শিদাবাদ, মালগ আর দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় নিয়মিত এজাতীয় ঘটনা ঘটছে। তাই গোটা ঘটনার বিশেষ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। তাঁর দাবি সমস্ত ঘটনাগুলির একটি যোগসূত্র রয়েছে। 

যদিও শুভেন্দু অধিকারীর এই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিজেপির হাতে এখন ইডি আর সিবিআই ছাড়া আর কিছুই নেই। তাই বিরোধী দলনেতা ওদের হাতে তদন্তের ভার তুলে দেওয়ার জন্য চিঠি লিখেছেন। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন আরও বলেছেন, বিরোধী দলনেতা নিজেই সিবিআই তদন্ত থেকে বাঁচতে বিজেপিতে রয়েছেন। তাই ওঁর কাছে এই দাবি প্রাসঙ্গিক। 

আরও পড়ুন:

মমতার বাড়ি নাকি কলকাতা পুলিশের হেডকোয়ার্টার , জেরায় বলল হাফিজুল

শিব ঠাকুরের কৃপা পেতে আজ থেকেই শুরু করুন এই পাঠ, জেনে নিন মহাদেবকে সন্তুষ্ট করার রীতি

দেবদেবীর ছবি ছাপা কাগজে মুড়ে মাংস বিক্রি, ধর্মীয় আবেগে আঘাত করার অভিযোগ উত্তর প্রদেশে