শাজাহান আলি, পশ্চিম মেদিনীপুর-কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে বন্দি পালানোর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে সোমবার জেল থেকে পালিয়ে যায় দুই বিচারাধীন বন্দি। পলাতক বন্দিদের খোঁজ করতে গিয়ে জেলা জুড়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জেলের ভিতর কড়া নজরদারির বেড়াজেল ভেঙে কীভাবে পালাল কয়েদিরা? তা নিয়ে ধন্দে ছিল জেলা পুলিশ। পলাতকদের খোঁজ করতে নেমে সেই রহস্য উদঘাটন হল।
আরও পড়ুন-নতুন করে শুভেন্দু-জটিলতা তৃণমূলে, 'একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়', সৌগতকে কড়াবার্তা শুভেন্দুর
পলাতক দুই বিচারাধীন বন্দিকে দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে আনা হয়েছিল। বারাকপুর আদালতের নির্দেশে খুনের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই বন্দি মনোজিৎ বিশ্বাস ও মিঠুন দাসকে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে আনা হয়েছিল নভেম্বরের ২৫ তারিখ। সেখানে থাকার কয়েক দিনের মধ্যেই জেল থেকে পালিয়ে যায় ঘুম উড়ে যায় পুলিশের। সোমবার সন্ধ্যায় আসামী গুন্তির সময় দুজনের হদিশ না মেলায় জেলা জুড়ে তদন্ত করেছিল পুলিশ। কিন্তু কীভাবে তারা জেল থেকে পালাল তা নিয়ে রহস্য দানা বাঁধতে থাকে।
আরও পড়ুন-শুভেন্দুকে নিয়ে 'আশাবাদী' বিজেপি, 'আশায় মরে চাষা', কটাক্ষ তৃণমূলের
মঙ্গলবার দুপুরে তদন্তে গিয়ে মেদিনীপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের দেওয়াল থেকে একটি আঁকাশি উদ্ধার করে পুলিশ। ১৮ ফুটের এই আঁকাশিটি বাঁশ ও লোহার রড দিয়ে তৈরি করেছিল পলাতক বন্দিরা। ওই আঁকাশিটিকে সিঁড়ির মতো ব্যবহার করেছিল বন্দিরা। দীর্ঘদিন ধরেই এই আঁকাশি তৈরির পরিকল্পনা চলছিল। সোমবার সুযোগ বুঝে চম্পট দেয় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই দুই খুনের আসামী। ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসতেই জেলের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।