৩০টি বসন্ত পরে মহিলা জানতে পারলেন তিনি 'পুরুষ', লহমায় বদলে গেল ক্যান্সার আক্রান্তের জীবন

তিরিশ বছর পর মহিলা জানতে পারলেন তিনি পুরুষ
পেটে যন্ত্রণার চিকিৎসা করতে গিয়েছিলেন
সামনে এল ভয়ঙ্কর তথ্য
ক্যান্সার আক্রান্তের কেমোথেরাপি চলছে

Saborni Mitra | Published : Jun 26, 2020 10:57 AM IST

৩০টি বছর স্বাভাবিকভাবেই কেটেছিল। নিজস্ব ছন্দে কাটছিল একের পর এক বসন্তও। কখন অসুস্থ হননি তিনি। বীরভূমের বাসিন্দার তাই সেভাবে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজনও হয়নি তাঁর। কিন্তু দিন কয়েক ধরে চলা পেটের যন্ত্রণা বদলে দিল তাঁর জীবন। পেটে যন্ত্রণার চিকিৎসা করতে গিয়ে মহিলার সামনে এল এক ভয়ঙ্কর সত্য। মহিলা জানতে পারলেন তিনি মহিলা নন তিনি একজন পুরুষ। 


৩০ বছর বয়সী ওই মহিলার বিবাহিত জীবন ৯ বছরের। তলপেটে ব্যাথার জন্য বেশ কয়েক মাস ধরেই নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস ক্যান্সের হাসপাতালেই চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। অনকোলজিস্ট অনুপম দত্ত ও সার্জিক্যাল টিউমার বিশেষজ্ঞ সৌমেন দাস মহিলার একাধিক পরীক্ষা করান। সেই সময়ই সামনে আসে আসল ঘটনা। জানা যায় মহিলা একজন পুরুষ। 

কিন্তু বাহ্যিক গঠন অনুযায়ী তাঁর শরীরে মহিলার সমস্ত বৈশিষ্ঠ্য বর্তমান। তাঁর গলার স্বর, স্তনের গঠন থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের গঠন সবকিছুই স্বাভাবিক। তবে তাঁর জরায়ু ও ডিম্বাশয় জন্ম থেকেই ছিল অনুপস্থিত। মহিলা নাকি কোনও দিন ঋতুস্রাবের অভিজ্ঞতা অর্জন করেনি। চিকিৎসকদের কথায় এটি খুবই বিরল ঘটনা। ২২ হাজার জনের মধ্যে একজনের শরীরে এমন লক্ষণ দেখতে পাওয়া যায়। এই রোগটিকে অ্যান্ড্রোজেন ইনসেনসেটিভিটি সিন্ড্রোম বলে।  

'যুদ্ধের হুমকি' দেওয়ায় চিনের মুখোশ খুলেছিলেন বাজপেয়ী, রাষ্ট্রদূতের অফিসে নিয়ে গিয়েছিলেন ৮০০ ভেড়া ...

ফুসফুসে করোনার সংক্রমণ মোকাবিলায় 'ন্যানোস্পঞ্জ', বিজ্ঞানীদের নতুন আবিষ্কারে আশার আলো .
পরীক্ষার রিপোর্টে অন্ধ যোনি থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁর শরীরে অন্ডকোষের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। তলপেটে ব্যাথার জন্য বায়োপসি করা হয়েছিল। সেই রিপোর্টে তাঁর টেস্টিকুলার ক্যান্সার ধরা পড়েছে বর্তমানে কেমোথেরাপি চলছে তাঁর। 

কারও সর্বনাশ তো কারও পৌষমাস, যুদ্ধের আবহে ১৭০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের ...
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অন্ডকোষ দেহের অভ্যন্তরে হওয়ায় অনুন্নত অবস্থায় ছিল। অন্যদিকে মহিলা হরমোনগুলির উপস্থিতি তাঁকে মহিলা করে রেখেছিল। জানাগেছে  দম্পতি বেশ কয়েকবার সন্তান নেওয়ার চেষ্টাও করেছিলেন।  


চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রোগীর ২৮ বছরের বোনেরও পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁরও অ্যান্ড্রোজেন ইনসেনসেটিভিটি সিন্ড্রোম ধরা পড়েছে। রোগীর দুই মামারও এই রোগ ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকরা মনে করছেন এটি জিন থেকে প্রাপ্ত রোগ। 
 

Share this article
click me!