যে অনুব্রত মণ্ডল ভোটের আগে জল বাতাসা আর নকুল খাওয়ানোর নিদান দিয়েছিলেন বিরোধীদের সেই অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই কলতাকা থেকে শুরু করে জেলা জুড়ে চলল সেই কর্মসূচি। কোথাও বাস থামিয়ে, কোথাও আবার রাস্তার পথ চলতি মানুষকেই বাতাসা, নকুল দানা আর জল খাওয়ানো হয়। তবে সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস নয় বিজেপি ও বাম নেতৃত্ব ছিল।
যে অনুব্রত মণ্ডল ভোটের আগে জল বাতাসা আর নকুল খাওয়ানোর নিদান দিয়েছিলেন বিরোধীদের সেই অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারির পরেই কলতাকা থেকে শুরু করে জেলা জুড়ে চলল সেই কর্মসূচি। কোথাও বাস থামিয়ে, কোথাও আবার রাস্তার পথ চলতি মানুষকেই বাতাসা, নকুল দানা আর জল খাওয়ানো হয়। তবে সৌজন্যে তৃণমূল কংগ্রেস নয় বিজেপি ও বাম নেতৃত্ব ছিল।
কলকাতা
ধর্মতলা মেট্রোর দু'নম্বর গেট থেকে শুরু করে ধর্মতলার নতুন বাজার পরিক্রম করতে করতে ঢাক বাজিয়ে নকুল দানা ও বাতাসা বিতরণ করলেন এসএফআই কর্মীরা | পাশাপাশি তারা স্লোগান দেন চোর ধরো জেল ভরো |
এসএফআই কর্মী দিপ্সিতা ধর বলেন এখনো অব্দি শাসকদলের দুইজন নেতা শ্রী ঘরে গেছেন এরকমই আস্তে আস্তে শাসকদলের প্রত্যেক জনের নেতা সহ তাদের নেতৃও একদিন ঠাঁই পাবেন শ্রী ঘরে | অন্যদিকে সন্তোষমিত্র স্কোয়ার এলাকায় বর্তমানে বিজেপির নেতা সজল ঘোষ নকুলদানা বিলি করেন। আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন। বলেন এটাই হওয়ার ছিল।
সল্টলেক নিউটাউন
গরু পাচার কাণ্ডে গ্রেফতার অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হওয়ার পরেই পথে নামেন নিউটাউন গৌরাঙ্গনগর এলাকায় মিছিল সিপিএমের। ঢাক ঢোল নিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে মিছিল করে সিপিএমের কর্মীরা। কংগ্রেস পক্ষ থেকে নকুলদানা হাতে নিয়ে প্রতিবাদ কলকাতা বিমানবন্দরে।
কংগ্রেস সম্পাদক জানান, তৃণমূলরা যেভাবে পশ্চিমবাংলার মানুষের টাকা আত্মসাত করছে, গরুপচারের টাকা যেভাবে লুট করেছে অনুব্রত মন্ডল, চোরেদের সর্দারের মধ্যে তিনিও ধরা পড়েছেন, জেলে থাকলে ওনাকে নকুলদানা পাঠানো হবে নিশ্চই কারণ উনি জল নকুলদানা খেতে ভালোবাসতেন খাওয়াতেন সকলকে।
মেদিনীপুর
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপির নেতার আনন্দ উৎসব করতে শুরু করে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মেদিনীপুর শহরের বাজার থেকে গুড় বাতাসা নকুল দানা কিনে পথচারীদের মধ্যে বিলি করতে শুরু করেন তারা। মেদিনীপুর শহরের পঞ্চুরচক রাজাবাজার ও সংলগ্ন এলাকায় পথচারী বিভিন্ন বাহন চালক, সবাইকে দাঁড় করিয়ে তাদের হাতে এই সমস্ত জিনিস তুলে দিয়েছে তারা। ওই সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন তৃণমূল নেতা তথা মেদিনীপুর পৌরসভার পৌর প্রধান সৌমেন খান। তাকেও আটকে তার হাতে রাখি পরিয়ে গুড় বাতাসে নকুল দানা দিয়েছে বিজেপি নেতারা।
এই কর্মসূচিতে উপস্থিত বিজেপি নেতা সমিত কুমার মন্ডল বলেন-" অনুব্রত মণ্ডল গুড় বাতাস নকুল দানা সাধারণ মানুষকে খাওয়াবেন বলেছিলেন। আজকে তার গ্রেফতার হওয়াতে তার মনের ইচ্ছা আমরা পূরণ করে দিলাম। সিবিআই এতদিনে সঠিক কাজ করেছে।" আজ কেশপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেফতারি প্রসঙ্গে অজিত মাইতি বলেন এটা কেন্দ্রের চক্রান্ত, অনুব্রত কতটা দোষী আমরা জানিনা কিন্তু তার থেকে বেশি দোষী বিজেপির মধ্যে রয়েছে।
জলপাইগুড়ি
পথে নামে ভারতের ছাত্র ফেডারেশনের জলপাইগুড়ি শাখা, শহরের পথে ঢাক বাজিয়ে মিছিল করার পাশাপাশি পথ চলতি মানুষের হাতে তুলে দেয় গুড় বাতাসা,। এমন আন্দোলন প্রসঙ্গে এস এফ আইয়ের জেলা নেতৃত্ব জানান, অনুব্রত মন্ডল গ্রেফতার হয়েছে সেই সংবাদ সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই এই ঢাকের চরাম চরাম আওয়াজ তুলে গুড় বাতাসা বিতরণ করা। কান গ্রেফতার হয়েছে আর কান টানলে মাথা আসবেই, যদি তা না হয় তাহলে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন পথে নামবে আবার। অপরদিকে বীরভূম তৃণমূল জেলা সভাপতি গরু এবং কয়লা পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে বিজেপির অন্যতম জেলা নেতৃত্ব তপন রায় বলেন, আজ রাখির দিন,১৯০৫ সালে সনাতনী দের একত্রিত এবং রক্ষা করতে কবি গুরু এই উৎসব শুরু করেছিলেন, আমার সেটাও যেমন পালন করছি, পাশাপাশি তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডলের গ্রেফতারি যেটা আরো অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিলো, সেই ব্যাপারে ও জনগণের কাছে তৃণমূল দলের দুর্নীতির কথা ও তুলে ধরছি।
তবে যে ঘটনা নিয়ে এই মুহূর্তে গোটা রাজ্যে উত্তাল সেই বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতির গ্রেফতারি প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায় বলেন, আইন আইনের পথে চলবে,।