কৌশিক সেন, রায়গঞ্জ-পুজোর পরও দুর্গাপুজো। কালীপুজোর ঠিক আগে দুর্গাপুজো চলছে উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে। বিজয়া দশমীর আটদিন পরের মঙ্গলবারে করণ দিঘির দোমহনা গ্রাম পঞ্চায়েতে সিঙ্গারদহ গ্রামে চলছে দুর্গাপুজো। সাত দিন ধরে চলা এই পুজো প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই প্রতিবছর হয়ে আসছে। প্রতি বছর ভিন জেলা থেকে মানুষের ভিড় হলেও। এবছর করোনা আবহে সেই ভিড় জৌলুস হারিয়েছে এই পুজো। যদিও, করোনা সুরক্ষা বিধি মেনে বাঁশের বেরিকেড তৈরি করে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেছেন পুজো উদ্যোক্তারা।
প্রতি বছর বিজয়া দশমীর আটদিন পর অনুষ্ঠিক হয় সোনামতি কুম্ভরানি দুর্গাপুজো। জানাগেছে, সোনামতি নামে ৫০ বিঘা জমি আছে এই দুর্গা মন্দিরের নামে। সেই জমি থেকে আয় হওয়া টাকা দিয়েই প্রতি বছর পুজোর আয়োজন করা হয়। দুর্গাপুজো একদিনের হলেও সাত দিন ধরে মেলার আয়োজন করা হয়। তবে এবছরও সাত দিন ধরে পুজোর অনুষ্ঠান হলেও তরোনা আবহের কারনে মেলা বাতিল করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর ছাড়়াও প্রতি বছর মেলা দেখতে ভিড় করেন দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ির অসংখ্যা মানুষ।
হাইকোর্টের নির্দেশ মেনেই এবছর পুজোর আয়োজন করেছে সোনামতি কুম্ভরানি দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা। পূর্ণ্য়ার্থী থেকে পুজো উদ্যোক্তা। প্রত্যেকেরই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। মন্দিরের সামনে যে সব স্টল গুলি বসেছে। সেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। বাঁশের বেরিকে়ড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছে মন্দির চত্বর। করোনা আবহের মধ্য়েও কুম্ভরানি দুর্গাপুজোর জনপ্রিয়তা এবছর দূর দূরান্ত থেকে টেনে এনেছে।