প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে মেদিনীপুর শহরে আজ সকালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিল ছাত্র সংগঠন।
প্রাথমিক বিদ্যালয় (Primary School) খোলার দাবিতে প্রাথমিকের পড়ুয়াদের (Student) সঙ্গে নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর (West Midnapore) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসের সামনে ধর্না ছাত্র সংগঠন এআইডিএসও-র (All India Democratic Students Organisation)। মুখে মাস্ক (Mask) পরে, সামাজিক দূরত্ববিধি (Social Distancing) মেনে প্ল্যাকার্ড (Placard) হাতে বসে ধর্না দিতে দেখা যায় খুদে পড়ুয়াদের। সেখানে যান শিশু সুরক্ষা দফতরের (West Bengal State Child Protection Society) আধিকারিকরা। শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের প্রশ্ন করতেই ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ছাত্র সংগঠন ও শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় সংসদ অফিসের সামনে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সংসদ আধিকারিকরা।
প্রাথমিক বিদ্যালয় খুলে পঠন-পাঠন চালুর দাবিতে মেদিনীপুর শহরে আজ সকালে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ অফিসের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিল ছাত্র সংগঠন। জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ অফিসের সামনে প্রাথমিকের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে বেলা ১১টা থেকে ধর্না দেওয়া শুরু হয়। সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়, "সব জায়গাতেই মেলা, খেলা সব স্বাভাবিক রয়েছে। তাহলে প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে অচলাবস্থা থাকবে কেন? অবিলম্বে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পঠন-পাঠন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করতে হবে।"
এই আন্দোলন চলাকালীন সেখানে হাজির হয়েছিলেন শিশু সুরক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের দাবি, করোনা পরিস্থিতির (Corona Situation) মধ্যে খুদে পড়ুয়াদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। আন্দোলনে বসানো হয়েছে তাদের। এই পরিস্থিতিতে এটি আইন বিরুদ্ধ কাজ। শিশুদের সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন শিশু সুরক্ষা দফতরের জেলা আধিকারিক দেবাশিস পাল। তাঁর এই কথা শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই বিক্ষোভ। এই ঘটনায় বেশ কিছুক্ষণ বাকবিতণ্ডার পরে দেবাশিস পাল জানিয়ে দেন, এই ঘটনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে দফতরের তরফে।
আরও পড়ুন- বিরল প্রজাতির কচ্ছপ সংরক্ষণ, গতিবিধি লক্ষ্য করতে জিপিএস চিপ লাগিয়ে ছাড়া হল নদীতে
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিশুই বলেন, "করোনা পরিস্থিতির কারণে শিশুদের বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। আর সেই পরিস্থিতির মধ্যে শিশুদের নিয়ে কখনওই আন্দোলন করা যায় না। কিন্তু, কিছু স্বার্থান্বেষী রাজনৈতিক ব্যক্তি এই আইনবিরুদ্ধ কাজ করছেন। বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে সঠিক সময়ে সরকার স্কুল চালু করবে।"