কবে হুঁশ ফিরবে প্রশাসনের! করোনা সংকটের মাঝেই সরকারি হাসপাতালে রমরমিয়ে চলছে দালালচক্র। এক শ্রেণির অ্যাম্বুল্য়ান্স চালকের খপ্পরে পড়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছে রোগীর পরিবারের লোকেরা। বীরভূমের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের ঘটনা।
কীভাবে চলে এই দালালচক্র? রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ থেকে হামেশাই সংকটজনক রোগীদের পাঠিয়ে দেওয়া হয় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু বর্ধমান মেডিক্যালে নিয়ে যাওয়ার নামে অ্যাম্বুল্যান্স চালকরা রোগীকে নিয়ে নার্সিংহোমে চলে যান বলে অভিযোগ। পরিবর্তে মোটা টাকা কমিশনও পান তাঁরা। আর রোগীর পরিবারকে ঘটিবাটি বিক্রি করে নার্সিংহোমে বিল মেটাতে হয়!
আরও পড়ুন: সমবায় সমিতিতে তাণ্ডব মদ্যপ তৃণমূল নেতার, দেখুন ভাইরাল ভিডিও
জানা গিয়েছে, বছর তিনেক আগে নার্সিংহোমে বিল মেটাতে না পেরে শেষপর্যন্ত আত্মহত্যা করেছিলেন এক প্রসূতির বাবা। সেই ঘটনার পর নড়চড়ে বসে প্রশাসন। অ্যাম্বুল্যান্স চালক ও মালিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হয়। এমনকী, রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রতিটি অ্যাম্বুল্যান্সের জিপিআরএস লাগানোও বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ওইপর্যন্তই! অপরাধীদের এখনও পর্যন্ত কোনও শাস্তি হয়নি। উল্টে প্রশাসনের দূর্বলতার সুযোগ নিয়ে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে দালালচক্র।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনে ফের বাঘের হানায় মৎস্যজীবীর মৃত্যু, বরাতজোরে রক্ষা পেলেন মৃতের সঙ্গী
শুক্রবার সকালে বাবাকে হারিয়েছেন মাড়গ্রামের বাসিন্দা শ্যামল মণ্ডল। রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এক অ্যাম্বুল্যান্স অগ্রিম নেন বলে অভিযোগ। কিন্তু শেষপর্যন্ত একটি ছোট মারুতি ভ্যান পাঠিয়ে দিয়ে গা-ঢাকা সে! অ্যাম্বুলেন্স চালকদের সংগঠনের সভাপতি সন্দীপ ঘোষের অকপট স্বীকারোক্তি, 'আমরা ব্যবসা করি। দালালদের ধরতে গেলে আমরা মার খাব।তবে যে একাজ করেছে সে ঠিক করেনি।' নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজের এম এস ভি পি সুজয় মিস্ত্রি।