আনিশের বাড়িতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। 'রাজ্য পুলিশে ভরসা নেই', সিবিআই তদন্তের দাবিতেই অনড় ছাত্র নেতার বাবা সালেম খান।
আনিশের (Anis Khan) বাড়িতে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পরিবারকে দিলেন পাশে থাকার আশ্বাস। উল্লেখ্য, আনিশের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে সারদাপল্লীর খাঁ পাড়াতে একের পর এক নামি দামী লোকেরা এসেই যাচ্ছেন। শনিবার দুপুরে আনিশের বাড়িতে ভারতের বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চোধুরী(Congress Leader Adhir Ranjan Chowdhury)।
কংগ্রেস অধীর রঞ্জন চোধুরী আনিশের বাবা সালেম খান ও দাদা বশির খানের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের দাবির প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। 'আগেই আসতেন, তবে লোকসভা ও পৌরসভার নির্বাচনের কারণে আসতে দেরি হল', বলেই জানালেন অধীর। 'শাসক দলের থেকে অনেক হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের' কথাও সালেম খান জানান তাকে। পাশাপাশি অধীরকে সিবিআই তদন্তের মাধ্যমে তাঁর ছেলের হত্যার তদন্তের (Anis Khan Murder Case ) দাবি জানিয়েছেন আনিশের বাবা সালেম খান। তিনি আনিশের পরিবারের খোঁজ খবর নেন। সালেম খানের শরীর সম্বন্ধেও জিজ্ঞাসা করেন। তবে অধীর চৌধুরীর আজকে আনিশের বাড়িতে আসা রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই অভিমত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। তিনি পরিবারের লোকেদের সঙ্গে নিয়ে যেখান থেকে আনিশকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছিল সেখানেও যান। তারা ঘটনাটি বোঝার চেষ্টা করেন। পাশাপাশি আনিশের পরিবারের পাশে এই লড়াইতে থাকার আশ্বাস দেন সালেম খানকে। খান পরিবারের যেকোনও প্রয়োজনে তারা সকলে তাদের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুন, আনিসের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত শেষ, কী বলছেন চিকিৎসকেরা
অপরদিকে, শনিবার সকাল থেকে বারেবারে পুলিশ ও সিটের সদস্যরা সালেম খানের বাড়িতে এসে তাকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করেন। তবে রাজ্যের পুলিশ ও তাদের তদন্তের উপরে কোনও ভরসা নেই বলেই জানিয়ে দেন আনিশের বাবা ও ভাই। প্রসঙ্গত, ইতিমধ্য়েই আনিস খানের দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়ে গিয়েছে। ময়নাতদন্তের পর চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আনিসের দেহ ভাল করে খতিয়ে দেখা হয়েছে। দেহের কোনও অংশের আঘাত যাতে নজর এড়িয়ে না যায়, তাই বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।তাঁদের কথায়, দেহের কোনও অংশ বাদ দেওয়া হয়নি।তার জন্য এক্সরে সহ যা যা দরকার সব করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রথম ও দ্বিতীয়ের মধ্যে রিপোর্টের কোনও ফারাক রয়েছে কি না জানতে চাইছে সিট। এহেন পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী গঠন করা সিটের হাতে বরাদ্দ ১৫ দিনও কমতে শুর করেছে। কারণ তার মধ্য়েই সব রহস্যের উণ্মোচন হবে, প্রকৃত সত্যি বাইরে আসবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।