এনআরসি হোক অথবা নাগরিকত্ব আইন। বাড়িতে এসবের জন্য কেউ সমীক্ষা করতেই এলেই ঝাঁটাপেটা করার নিদান দিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর আশ্বাস, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আছে। ফলে, কারও ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।
এ দিন বীরভূমের পাইকরে নাগরকিত্ব আইন এবং এনআরসি বিরোধী একটি সভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই সভা থেকেই এমন মন্তব্য করেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি।
তিনি বলেন, 'কেউ যদি বাড়িতে গিয়ে কতগুলো গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কতজন মানুষ জানতে চান, একাত্তর সালের আগের দলিল দেখতে চান, তাহলে তাঁদের ঝাঁটাপেটা করে তাড়াবেন। আপনাদের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন। আপনাদের ভয়ের কোনও কারণ নেই। কারণ এরাজ্যে কোনও আইন লাগু হবে না। এ রাজ্যের হিন্দু-মুসলিম সহ সমস্ত সম্প্রদায়ের মানুষ সুরক্ষিত থাকবেন। কাউকে ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই।'
আরও পড়ুন- সময়ের আগেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট, তৃণমূল নেতার মন্তব্যে জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন- মমতা শপথে গেলেই সরকার উল্টে যায়, মুখ্য়মন্ত্রীর ঝাড়খণ্ড সফরকে খোঁচা দিলীপের
এর পরেই ঝাড়খণ্ড নির্বাচনের ফলাফলের প্রসঙ্গ টেনে এনে অনুব্রত বিজেপি-কে খোঁচা দিয়ে বলেন, 'মানুষ ওই বর্বর দলকে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। ওই কালা আইন মানুষ যে মানে না, তার জবাব ওরা ঝাড়খণ্ডে পেয়েছে। আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গে যে নির্বাচন হবে, সেখানেও তাঁদের খালি হাতে ফিরতে হবে। মানুষের সঙ্গে যারা বেইমানি করবে, কেউ তাদের ক্ষমা করবে না।'
যদিও ঝাড়খণ্ডের নির্বাচনে তৃণমূলের ভরাডুবি নিয়ে অন্য যুক্তি দিয়েছেন বীরভূমের জেলা সভাপতি। তাঁর দাবি, 'সর্বভারতীয় দলের তকমা পেতে হলে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক ভোট পেতে হয়। তাই দলের সর্বভারতীয় তকমা বজায় রাখতে ঝাড়খণ্ডে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল।'