চারচাকা গাড়ি চালানো শিখছিলেন বছর ৫০ -এর কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকর। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারে আর সোজা আঘাত লাগে ভুবনের বুকে । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় ভুবন বাদ্যকরের। রিপোর্ট ঠিক থাকায় ঘণ্টাখানেক পরই ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে।
আজকাল এক নামে সকলকে চেনে ভুবন বাদ্যকারকে (Bhuban Badhyakar)। সৌজন্যে তাঁর গলায় গাওয়া সেই বিখ্যাত কাঁচাবাদাম গান (Kancha Badam) যা তাঁকে রাতারাতি সেলিব্রিটি (Celebrity) বানিয়ে দিয়েছে। এখজন সামান্য বাদাণ বিক্রেতা নিজের অজান্তেই আজ সকলের নয়নের মনি। রুপোলি দুনিয়ার তাবড় তাবড় সেলিব্রিটির সন্তানরা যেমন এই গানে কোমড় দোলাচ্ছেন তেমনই আবার জনপ্রিয় রিয়েলটি শো দাদাগিরির মঞ্চে সৌরভ গাঙ্গুলিকে বাদাম দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন এই ভুবন বাদ্যকার। তাঁর জনপ্রিয়তা যে একন আকাশছোঁয়া সেই প্রমাণ পাওয়া গেল মঙ্গলবার (Tuesday) বর্ধমান মেডক্যাল কলেজ (Burdwan Medical College) চত্বরে। সোমবার বিকেলে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন (Hospitalised) তিনি। মঙ্গলবার (Tuesday) সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে (Back To Home) ভক্তরা একপ্রকার ছেঁকে ধরে তাঁকে। হিড়িক পড়ে সেলফি তোলার।
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত সোমবার বিকেল। বীরভূমের কুড়ালজুড়ি গ্রামে সদ্য কেনা চারচাকা গাড়ি চালানো শিখছিলেন বছর ৫০ -এর কাঁচা বাদাম খ্যাত ভুবন বাদ্যকর। সেই সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি বাড়ির দেওয়ালে ধাক্কা মারে আর সোজা আঘাত লাগে ভুবনের বুকে । সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা ঝুঁকি না নিয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করে দেন সকলের প্রিয় বাদাম কাকুকে। মঙ্গলবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে বিভিন্ন পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয় ভুবন বাদ্যকরের। রিপোর্ট ঠিক থাকায় ঘণ্টাখানেক পরই ছুটি দেওয়া হয় তাঁকে।
বর্ধমান হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর চোখেমুখে দুর্ঘটনার আতঙ্কের ছাপ ছিল স্পষ্ট। তবে হাসপাতালে পরীক্ষা নিরীক্ষায় খারাপ কিছু না মেলায় প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে আজকের এই সেলেব গায়ককে। মঙ্গলবার তাঁকে খুব একটা কথাবার্তা বলতেও দেখা যায় নি। দুর্ঘটনার পর একটু দমে গিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে রয়েছে যন্ত্রনাও। সব মিলিয়েই তিনি আপাতত খুব একটা বেশি কথা বলতে পারছেন না বলে জানিয়ছেন তাঁর আসেপাশে থাকা স্থানীয় লোকজনেরা। সকলের প্রিয় বাদাম কাকুর কথা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর ভক্তদের মনে যে ব্য়াথা লাগে...
মাস কয়েক আগের কথা। বীরভূমের গ্রামে গ্রামে ঘুরে বাদাম বিক্রি করতেন ভুবন বাদ্যকর। ব্যবসার স্বার্থেই নিজের ছন্দে বেঁধেছিলেন কাঁচাবাদাম গানটি। কিন্তু কে জানত এই গানই ভুবন বাদ্যকরের ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দেবে। এই গানটি রাতারাতি ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তারপর বাকিটা তো ইতিহাস...সেলেবের তকমা গায়ে লাগার পরই একটি সেকেন্ড হ্যান্ড বা ব্যবহার করা গাড়িও কিনে ফেলেন বাদামকাকু ভুবন বাদ্যকর। আর সেই গাড়ি চালানো শিখতে গিয়েই ঘটে বিপত্ত। তবে এখন তাঁর সুস্থতার খবরে খুশি ছোট থেকে বড় সকল অনুরাগীরা।