Bally Missing Wives: প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ায় কর্মকার পরিবারের ২ বধূর ঠাঁই হল না শ্বশুরবাড়িতে

বুধবার আসানসোলে মুম্বই মেল থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। অপহরণ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে শেখর ও শুভজিতের বিরুদ্ধে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বালিতে। বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ওই দুই বধূ।

Web Desk - ANB | Published : Dec 24, 2021 12:55 AM IST / Updated: Dec 24 2021, 07:29 AM IST

প্রেমিকের (Lover) হাত ধরে শ্বশুরবাড়ি (In-Law's House) ছেড়েছিলেন বালির একই পরিবারের দুই গৃহবধূ (Wives)। আসানসোলে বুধবার পুলিশের হাতে ধরা পড়েন বালির (Bally) কর্মকার পরিবারের দুই বউ ও তাঁদের দুই প্রেমিক। বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন দুই বউ। অন্যদিকে গ্রেফতারের পর দুই রাজমিস্ত্রি তথা ওই দুই বধূর প্রেমিক শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাসকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের (Jail Custody) নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিকে ঘর ছেড়ে প্রেমিকদের হাত ধরে চলে যাওয়া দুই বধূকে ফিরিয়ে নিল না তাঁদের শ্বশুরবাড়ি। 

বালির নিশ্চিন্দার বাসিন্দা কর্মকার পরিবারের বড় ছেলে পলাশের স্ত্রী অনন্যা আর ছোট ছেলে প্রভাতের স্ত্রী রিয়া। ঘটনাটা ঘটেছিল চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর। শীতের পোশাক (Dress) কিনতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন রিয়া ও অনন্যা। তারপরই বাড়িতে কাজ করা দুই রাজমিস্ত্রি শেখর রায় এবং শুভজিৎ দাসের সঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। এদিকে শ্বশুরবাড়ি ছাড়ার সময় নিজের সন্তান আয়ুষকেও সঙ্গে নিয়েছিলেন রিয়া। পুলিশ জানতে পেরেছে, শেখর ও শুভজিতের সঙ্গে নতুন করে সংসার শুরু করার জন্যই ঘর ছেড়েছিলেন অনন্যা ও রিয়া। ঠিক করেছিলেন প্রেমিককে বিয়ে করবেন। এরপর বালির বাড়ি ছাড়ার পর শেখর ও শুভজিতের সঙ্গে তাঁরা পাড়ি দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদে। সেখানেই রয়েছে শেখর ও শুভজিতের বাড়ি। কিন্তু, তাঁদের বিয়েতে সম্মতি দেয়নি পরিবার। সেই কারণে এক পরিচিতের কাছে মুম্বইতে পাড়ি দিয়েছিলেন। এদিকে সেখানেও বেশিদিন থাকতে পারেননি তাঁরা। কারণ টাকা শেষ হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে মুম্বই মেলে করে রাজ্যে ফিরছিলেন। তখনই ট্রেন আসানসোল পৌঁছাতেই তাঁদের গ্রেফতার করে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- 'আমরা প্রেম করেছি, আপনারা মাথা ঘামাচ্ছেন কেন', পুলিশকে ধমক বড় বউয়ের

বুধবার আসানসোলে মুম্বই মেল থেকে তাঁদের আটক করে পুলিশ। অপহরণ সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে শেখর ও শুভজিতের বিরুদ্ধে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বালিতে। বৃহস্পতিবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেন ওই দুই বধূ। এর পর বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় নিশ্চিন্দা থানায়। আসলে বাড়ি ছেড়ে পালানোর সময় রিয়ার সঙ্গে ছিল তাঁর ছেলে আয়ুষও। তাকে অপহরণের অভিযোগ রয়েছে শেখর ও শুভজিতের বিরুদ্ধে। তাদের ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।  

যদিও পালিয়ে যাওয়ার পর রিয়া ও অনন্যার ঠাঁই হয়নি শ্বশুরবাড়িতে। থানায় বেশ কিছুক্ষণ বসে থাকার পর তাঁরা বাপেরবাড়িতে চলে যান। এদিকে এ প্রসঙ্গে পলাশ কর্মকার বলেন, "বাচ্চাকে ফেরত পেয়েছি। তবে এখন আমরা মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত। ওঁদের ২ জনকে ফিরিয়ে নেওয়া হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত নিইনি।" ফলে ভবিষ্যতে তাঁদের শ্বশুরবাড়িতে ফেরানো হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 

Share this article
click me!