গ্রাহকরা জানতেন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই জমা পড়ছে তাঁদের কষ্টার্জিত অর্থ। কিন্তু গ্রাহকদেকর থেকে টাকা না নিয়ে তা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের এক কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর চব্বিশ পরগণার মছলন্দপুরে। অভিযুক্ত শুভঙ্কর গায়েন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত ব্যাঙ্ক কর্মী অবশ্য এই প্রতারণার সঙ্গে ব্যাঙ্ক ম্যানেজার- সহ বেশ কয়েকজন যুক্ত বলে দাবি করেছে।
জানা গিয়েছে, ধৃত শুভঙ্ককর গোবরডাঙা থানা এলাকার নাকফুলের বাসিন্দা। সে মছলন্দপুরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের গ্রুপ ডি কর্মী। অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই ব্যাঙ্কের বই করে দেওয়ার নাম করে মছলন্দপুরের বহু বাসিন্দার থেকে টাকা তুলত সে। শুভঙ্কর ব্যাঙ্ককর্মী হওয়ায় সবাই বিশ্বাস করে তাঁকে টাকাও দেন। কিন্তু অভিযোগ, সেই টাকা ব্য়াঙ্কে জমা দিত না অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মী।
আরও পড়ুন- ইনস্যুরেন্সের টাকা ফেরতের নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা,কলকাতায় রমরমিয়ে চলেছে ব্যবসা
আরও পড়ুন- আর্থিক প্রতারণা মামলায় ফের মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ পুলিশের
এর পরেই মঙ্গলবার রাতে মছলন্দপুর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন মছলন্দপুরের বেতপুলের বাসিন্দা পুলকেশ মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি। অভিযোগ পাওয়ার পরে রাতেই শুভঙ্করকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ দিন তাকে বারাসত আদালতেও তোলা হয়েছে। যদিও ধৃত ব্যাঙ্ক কর্মীর দাবি, এই প্রতারণা চক্রে তার সঙ্গে ব্যাঙ্কের আরও উচ্চপদস্থ আধিকারিক এবং কর্মীরা যুক্ত। তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও অভিযোগ করে ধৃত যুবক। তার দাবি, 'এর সঙ্গে শান্তনু বিশ্বাস, ফতেমা আনসারি এবং দেবব্রত ভট্টাচার্য যুক্ত রয়েছে। এদের মধ্যে দু' জন ডেপুটি ম্যানেজার এবং একজন ম্যানেজার। আমাকে দিয়ে প্রায় একবছর ধরে এই কাজ করানো হচ্ছিল।' ধৃত ব্যাঙ্ককর্মী যাদের নাম বলছেন, তাদের মধ্যে একজন ওই ব্যাঙ্কেরই প্রাক্তন ম্যাানেজার। অন্য দু' জন এখনও ওই শাখাতেই কর্মরত রয়েছেন বলে খবর। এই তিনজন সত্যিই প্রতারণার সঙ্গে যুক্ত কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
ওই ব্যাঙ্কের বর্তমান ম্যানেজার ওয়াই জগদীশ কুমার জানান, তাঁর কাছেও প্রতারণার অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশের পাশাপাশি ব্যাঙ্কের তরফেও তদন্ত হবে বলে জানান তিনি। পুলিশ সূত্রে খবর, গত এক বছরে এলাকার বিভিন্ন বাসিন্দার থেকে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা তুলেছে ওউ যুবক।