সংক্ষিপ্ত
- আর্থিক প্রতারণায় মামলায় নাম জড়িয়েছে বিজেপি নেতা মুকুল রায়
- গত মাসে তাঁকে ঠাকুরপুকুর থানা ডেকে পাঠিয়েছিলেন তদন্তকারীরা
- সোমবার ফের থানায় হাজিরা দিলেন মুকুল রায়
- ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বাবান ঘোষ মুকুল ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত
আর্থিক প্রতারণা মামলায় ফের পুলিশের জেরার মুখে বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সোমবার ঠাকুরপুকুর থানায় হাজিরা দেন তিনি। শেষ খবর অনুযায়ী, একদা তৃণমূল কংগ্রেসের প্রভাবশালী এই নেতাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
২০১৫ সালে বেহালার সরশুনা থানায় মুকুল ঘনিষ্ট বিজেপি নেতা বাবান ঘোষের এফআইআর করেন সন্টু ঘোষ নামে এক ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর দাবি, রেলমন্ত্রকের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ ৮০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বাবান। শুধু তাই নয়, টাকা নেওয়ার সময়ে মুকুল রায়ের নাম করেছিলেন তিনি। কিন্তু টাকা নিয়েও সন্টু ঘোষকে রেলের স্থায়ী কমিটির সদস্য করে দিতে পারেননি বাবান। শেষপর্যন্ত প্রতারণার অভিযোগ বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ ও মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে সরশুনা থানায় এফআইআর করেন সন্টু ঘোষ। মাস দুয়েক আগে গভীর রাতে গড়িয়া পাটুলির বাড়ি থেকে অভিযুক্ত বাবান ঘোষকে গ্রেফতার করেছে সরশুনা থানার পুলিশ। এর আগেও এই মামলার মুকুল রায়কে তলব করেছিল পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর বেহালার ঠাকুরপুকুর থানায় হাজিরাও দিয়েছিলেন মুকুল।
জানা গিয়েছে, আর্থিক প্রতারণার মামলায় মূল অভিযুক্ত বিজেপি নেতা বাবান ঘোষ দলের মজদুর ইউনিয়নের সভাপতি। লোকসভা ভোটের ফল ঘোষণার পরই দিল্লিতে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন টালিগঞ্জে এক ঝাঁক তারকা। এমনকী, স্টুডিওপাড়ায় আলাদা ইউনিয়নও তৈরি করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির অন্দরের খবর, টালিগঞ্জে বিজেপির এই উত্থানের পিছনে বাবান ঘোষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একসময়ে তৃণমূল করতেন তিনি। পরে মকুল রায়ের হাত ধরেই যোগ দেন বিজেপিতে।