অর্জুনের বাড়ির আশপাশে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র বা বোমা মজুত করা রয়েছে কিনা তার হদিশ পেতেই এবার অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করল পুলিশ। আজ সার্কাস ময়দান থেকে ড্রোন উড়িয়ে সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা।
একাধিকবার ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের বাড়ির সামনে বোমাবাজি হয়েছে। তাতে বেশ উদ্বিগ্ন প্রশাসন। আর তাই এবার তাঁর বাড়ির আশপাশে থাকা দুষ্কৃতীদের খোঁজ পেতে ড্রোন ওড়াল ব্যারাকপুর কমিশনারেটের বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন জগদ্দল থানার পুলিশ আধিকারিকরাও। এদিকে বোমাবাজির ঘটনার তদন্ত করছে এনআইএ। তদন্তের জন্য গতকালই অর্জুনের বাড়িতে গিয়েছিলেন আধিকারিকরা।
অর্জুনের বাড়ির আশপাশে কোনও আগ্নেয়াস্ত্র বা বোমা মজুত করা রয়েছে কিনা তার হদিশ পেতেই এবার অভিনব পদ্ধতি অবলম্বন করল পুলিশ। আজ সার্কাস ময়দান থেকে ড্রোন উড়িয়ে সেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন তাঁরা। ড্রোনের সাহায্যে তল্লাশি চালানো হয়। এ কাজে জগদ্দল থানার পুলিশের সঙ্গে ছিল ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ড্রোন বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন, 'পুরুলিয়ায় আক্রান্ত ২৩৭ শিশু, আর উনি এখন নির্বাচনে ব্যস্ত', মমতাকে তোপ শুভেন্দুর
আরও পড়ুন- 'রাহুল নন, মোদীর বিকল্প মুখ মমতাই', 'জাগোবাংলা'-প্রতিবেদন নিয়ে বিস্ফোরক অধীর
ভাটপাড়ায় অশান্তি লেগেই থাকে। প্রায়ই সেখানে বোমাবাজির খবর শোনা যায়। চলতি মাসের শুরুতে খবরের শিরোনামে উঠে আসে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি। গত ৮ সেপ্টেম্বর অর্জুন সিংয়ের বাড়ির কাছে বোমাবাজি হয়। ওই বাড়িতেই থাকেন অর্জুন পুত্র পবন সিংও। ওইদিন সকাল ৬টা নাগাদ অর্জুনের বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ৩টি বোমা ছুড়েছিল দুষ্কৃতীরা। একটি বোমা সাংসদের বাড়ির দরজা ও অপর বোমাটি উল্টোদিকে সিআইএসএফ জওয়ানদের পাহারাস্থলের কাছে ফাটে। ঘটনার সময় অবশ্য বাড়িতে ছিলেন না অর্জুন। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন তিনি। তবে বাড়ির তেমন ক্ষতি না হলেও বাড়ির দেওয়ালে বোমার চিহ্ন স্পষ্ট।
এরপরই ওই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-এর হাতে তুলে দেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। বৃহস্পতিবার তার তদন্ত করতে অর্জুনের বাড়িতে যান এনআইএ আধিকারিকেরা। এদিকে এনআইএ আধিকারিকদের তদন্ত করতে দেখে তৎপর হয়ে ওঠে পুলিশ। দুষ্কৃতীদের খোঁজে ওড়ানো হয় ড্রোন। যদিও পুলিশের এই তৎপরতাকে কটাক্ষ করেছেন অর্জুন। তিনি বলেন, "বোমাবাজির ঘটনায় দুষ্কৃতীদের নাম পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। তাদেরকে ধরলেই অস্ত্র উদ্ধার হবে। ড্রোন উড়িয়ে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের পুলিশ যে সক্রিয়, তা এনআইএ-কে দেখাতে চাইছে। গোটা বিষয়টা হাস্যকর ঘটনায় পরিণত করেছে ব্যারাকপুর কমিশনারেট।"