সকাল পার হয়ে দুপুর হলেও বারাসাত হরিতলা বাজারে পড়ে রয়েছে হাজার হাজার ঠাকুর। বিক্রি হয়নি, কার্যত চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের কপালে।
দুপুর গড়িয়ে বিকেল হলেও বারাসাত হরিতলা বাজারে পড়ে আছে হাজার হাজার বিশ্বকর্মা ঠাকুরের (idols of Bishwakarma) মূর্তি (Thousands of idols)। দেশ রাজ্যে নতুন শিল্প নেই, সমাজ
অর্থনীতিতে মন্দার ছায়া, তাই প্রতিমা বিক্রি নেই। গ্রামীণ অর্থনীতিতেও তার প্রভাব পড়েছে। ছোট ছোট বহু কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মাথার উপর ঝুলছে ছাঁটাইয়ের খাঁড়া। তাই ধুমধাম করে বিশ্বকর্মা পুজো এখন অতীত। বাঙালির জীবনে শিল্পকর্মের সৃষ্টিকর্তা বিশ্বকর্মার আসন বিভিন্ন জায়গায় পাতা হলেও তা আগের জৌলুস হারিয়েছে।
জেলার শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে কর্মকার, স্বর্ণকার, কাঠ মিস্ত্রি, সাইকেল মিস্ত্রি থেকে গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত সকলেই পুজো সারছেন। কিন্তু, সে পুজোর কার্যত জৌলুসহীন। সকাল পার হয়ে দুপুর হলেও বারাসাত হরিতলা বাজারে পড়ে রয়েছে হাজার হাজার ঠাকুর। বিক্রি হয়নি, কার্যত চিন্তার ভাঁজ পড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের কপালে। তাদের চোখে-মুখে লোকশানের হতাশা। মৃৎশিল্পী সঞ্জয় পাল বলেন মন্দার বাজারে গতবারের থেকে এবার ঠাকুর বিক্রি কম।
মূলত করোনার জন্যই এ বছর সেভাবে ঠাকুর বিক্রি হয়নি। বড় ঠাকুরের তুলনায় ছোট ঠাকুর বেশি বিক্রি হয়, কিন্তু এবছর কোনটাই হয়নি এমনই জানালেন মৃৎশিল্পীরা। কেউ আবার বেশী মূর্তি তৈরি হয়েছে বলেও মূর্তি পড়ে আছে এমন দাবী করেছেন। তবে শিল্পে বন্ধার ফলে বিশ্বকর্মা ঠাকুরের মূর্তি বিক্রি যে অনেক টা কমেছে সেটা সার সার দিয়ে দাড়িয়ে থাকা ছবিটাই প্রমাণ করে।