কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘুর্ণিঝড় আমফান আছড়ে পড়ল বলে! উত্তর ২৪ পরগণার বসিরহাটের সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদ এলাকায় হলুদ সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। নদী বাঁধ লাগোয়া এলাকায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে উঁচু জায়গায়।
আরও পড়ুন: ধেয়ে আসছে ঘুর্ণিঝড় 'আমফান', দিঘায় প্রশাসনের তৎপরতা তুঙ্গে
করোনা সতর্কতায় লকডাউন চলছে রাজ্যে। ঘরবন্দি থাকলে সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে। কিন্তু ঘুর্ণিঝড়কে রুখবে কে! ঝড়ের তাণ্ডবে বিপদের আশঙ্কা বাড়ছে এ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায়। বঙ্গোপসাগরে শক্তি বাড়াচ্ছে ঘুর্ণিঝড় আমফান। সোমবার বিকেল থেকে সুপার সাইক্লোনের চেহারা নিয়ে সেই ঝড় এগিয়ে আসবে স্থলভাগের দিকে। সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, বুধবার ঘণ্টা ১৮৫ কিমি বেগে ঝড় আছড়ে পড়বে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া উপকূলবর্তী এলাকায়।
আরও পড়ুন: ফুঁসছে আমফান, নবান্ন কন্ট্রোল রুমের থেকে কড়া নজরদারি, বিপদের সংকেত দক্ষিণবঙ্গে
উত্তর চব্বিশ পরগণার বসিরহাটে ব্লকে নদীর অভাব নেই। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালির এলাকায় বইছে রায়মঙ্গল, গৌড়েশ্বর, কালিন্দী ও বেতনী নদী। সবকটি নদীতেই জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। এলাকায় ত্রাণ মজুত করেছে প্রশাসন। বিডিও, পঞ্চায়েত প্রশাসন, এমনকী স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বসিরহাটের মহকুমাশাসক ও পুলিশ সুপার। কাজে লাগানো হচ্ছে বন্যানিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র বা ফ্লাড সেন্টারগুলিকেও।