ফুঁসছে আমফান, নবান্ন কন্ট্রোল রুমের থেকে কড়া নজরদারি, বিপদের সংকেত দক্ষিণবঙ্গে

বর্তমানে আমফান ঘুর্ণিঝড়ের অবস্থান দীঘা থেকে ৯৮০ কিলোমিটার দূরে ও পারাদ্বীপ থেকে ৮২০ কিলোমিটার দূরে। পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত এই আমফান ক্রমেই বাড়িয়ে চলেছে শক্তি। ১২ ঘণ্টার মধ্যেই তা আরও শক্তি অর্জন করবে বলে দাবি আবহাওয়া বিপদের। দুর্যোগ সমাল দিতে তৎপর নবান্ন। দক্ষিণবঙ্গের ওপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে প্রতিটা মুহূর্তে। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলাকে সতর্ক করা হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। আমফান মোকাবিতালে প্রস্তুত নব্বান। সোমবার এই নিয়ে বিশেষ বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী। 

ইতিমধ্যে সতর্কতা জারি করা হয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতে। দক্ষিণ ও উত্তর ২৪ পরগণা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, হাওড়া ও হুগলিতে তাণ্ডপ চালাতে পারে আমফান। পাশাপাশি ওড়িশার ১০টি জেলাতেও থাকছে বিপদের সংকেত। ১২ ঘণ্টা পর গভীর সমুদ্রে ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ২৬৫ কিলোমিটার হতে পারে। উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় সেই শক্তি খানিক কমলেও তা ব্যাপক হারে ক্ষতি ঘটাতে সক্ষম হবে। ঘণ্টায় ঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৮৫ কিলোমিটার হতে পারে। 

দিঘা এবং বাংলাদেশের হাতিয়ার মধ্যে দিয়ে স্থলভাগে আছড়ে পড়ার সম্ভাবনার কথাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। যার জেরে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়তে পারে কলকাতাকে, তবে সুন্দরবনে সর্বাধিক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমফান নিয়ে তাই সতর্ক রয়েছে নবান্ন। কন্দ্রোল রুম থেকে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে সতর্ক থাকার কথা জানানো হয়েছে নবান্নের তরফ থেকে। পাশাপাশি মজুত রাখতে বলা হয়েছে ত্রাণও।