করোনা থেকে মুক্তি মিলবে কবে! কমার তো কোনও লক্ষ্মণই নেই, বরং লাফিয়ে লাফিয়ে iবাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। কলকাতা, হাওড়া ও উত্তর চব্বিশ পরগণা সংক্রমিত এলাকাগুলিতে কোভিড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল সরকার। বাদ যাবে না মুর্শিদাবাদ, মালদহ ও উত্তর দিনাজপুরও।
আরও পড়ুন: কোভিড রোগীকে রেফার করলে বেড বুক করে দিতে হবে হাসপাতালকেই, কড়া পদক্ষেপ নবান্নের
তখন করোনা সংক্রমণে কার্যত মৃত্যু মিছিল চলছে ইতালিতে। এ রাজ্যে প্রথম আক্রান্তের হদিশ মেলে কলকাতায়। মার্চে মাসে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো ঢেলে সাজানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাতারাতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে বেডের সংখ্য়া বাড়ানো হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করা হয় কলকাতার আরও বেশ কয়েক হাসপাতালে। আরজি কর মেডিক্য়াল কলেজ ও হাসপাতালে নাইট সেন্টার চালু করে সরকার। গত পাঁচ মাসে পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার নিয়েছে। কলকাতার সীমানা ছড়িয়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে রাজ্যের সর্বত্রই।
স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, কলকাতা এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে করোনা আক্রান্তের চিকিৎসার জন্য বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে ১১০টি। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলায় ২০০ শয্য়া বিশিষ্ট একটি বেসরকারি হাসপাতাল অধিগ্রহণ করেছে সরকার। বেডের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে নৈহাটি স্টেট জেনারেল হাসপাতাল, অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতাল ও শ্রী বলরাম সেবামন্দিরে। হাওড়ার করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে সত্যবালা আইডি হাসপাতালে। সেখানে ২০টি বেড বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
আরও পড়ুন: খরচ নিয়ে সংশয়, বাড়ি থেকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ করল কলকাতার বেসরকারি কোভিড হাসপাতাল
উল্লেখ্য, গত একমাসে কলকাতা ও লাগোয়া জেলাগুলিতে কোভিড হাসপাতালে প্রায় ৮০০টি অতিরিক্ত বেডের ব্যবস্থা করেছে সরকার। কিন্তু তাতে কী পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হবে! আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য আরও ২ হাজার বেড চালু করার লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে স্বাস্থ্য দপ্তর।