নির্বাচনোত্তর হিংসায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ আইপিএস-আইএএসরা, এশিয়ানেট নিউজকে সাক্ষাতকার এনএইচআরসি সদস্যের

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার তদন্তের জন্য সিবিআইকে দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্ত আদালত তত্ত্বাবধান করবে। 

Parna Sengupta | Published : Aug 19, 2021 11:54 AM IST / Updated: Aug 19 2021, 06:15 PM IST

পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী হিংসার (Bengal Post-Poll Violence) তদন্তের জন্য সিবিআইকে (CBI) দায়িত্ব দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার জানিয়েছে গোটা মামলা সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তদন্ত আদালত তত্ত্বাবধান করবে। তদন্তের রিপোর্ট ছয় সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে হবে। আদালত সিবিআইকে অন্যান্য মামলার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ দল (Special Team) গঠনের নির্দেশও দিয়েছে।

এই রায়ে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার বলে মত বিশেষজ্ঞদের।  হাইকোর্ট জাতীয় মানবাধিকার কমিশনকে (NHRC) আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাসের একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে এই ঘটনার প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছিল, যার অভিযোগ ছিল নির্বাচন-পরবর্তী সংঘর্ষে ১১ জন মারা গিয়েছেন। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে হাইকোর্ট বিষয়টি সিবিআই -এর কাছে পাঠায়।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পঞ্চম কমিটির সদস্য আইএএস সিভি আনন্দ বোস এই বিষয়ে ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং তদন্ত চালান। তদন্তের বিষয়ে এশিয়ানেট নিউজ অনলাইনকে বিশেষ তথ্য দেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন যখন তারা তদন্ত করতে গিয়েছিলেন তখন চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য পান। 

তিনি বলেন বাংলায় এমনও ঘটেছে, যেখানে মেয়েরা নির্বাচন পরবর্তী হিংসা চলাকালীন তাদের বাবা -মা, স্বামী এবং ভাইবোনদের সামনে ধর্ষিত হয়েছে। তিনি বলেন সেই যন্ত্রণা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। তাদের রক্ষা করার কেউ নেই। অনিশ্চিত তাঁদের ভবিষ্যত, তাঁদের জীবন। থানায় অভিযোগ দায়ের করা হলে তারা তদন্ত করতে রাজি নয় বলে অভিযোগ করেছেন ওই প্রশাসনিক আধিকারিক।

আনন্দ বসুর দাবি রাজ্যের আইএএস এবং আইপিএস আধিকারিকরা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছেন। তারা ন্যায়বিচার করেন না। এনএইচআরসি কমিটির প্রতিবেদনে এই আক্রান্তদের পুনর্বাসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সিভি আনন্দ বসু আরও বলেন, সংঘর্ষে আক্রান্তদের পুনর্বাসনের বিষয়টি ভেবে দেখছে কমিশন। 

"

Share this article
click me!