না, কোনও নামীদামি বেসরকারি স্কুল নয়। সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুল। ছাত্রদের আরও স্কুলমুখী করতে এবং ছাত্র- শিক্ষক বন্ধন সুদৃঢ় করতে অভিনব উদ্যোগ নিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বাসন্তীর চুনাখালি হাটখোলা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়। এবার থেকে ছাত্র এবং শিক্ষকদের সবারই জন্মদিন পালন হবে স্কুলে।
শুক্রবার গোসবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করের উপস্থিতিতে স্কুলের শিক্ষক ও পড়ুয়ারা একসঙ্গে কেক কেটে জন্মদিনের পালনের এই পরিকল্নার সূচনা করলেন। এবার থেকে প্রতিমাসে ওই স্কুলে পালিত হবে ছাত্র এবং শিক্ষকদের জন্মদিন। অগাস্ট মাসে স্কুলের পড়ুয়া এবং শিক্ষক মিলে মোট তেরোজন ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষকদের জন্মদিন ছিল। এ ভাবেই প্রতিমাসে স্কুলে জন্মদিন পালন চলবে। কিন্তু কোনও সরকারি নির্দেশিকা নয়, নিজেদের উদ্যোগেই এমন পরিকল্পনা করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। স্কুল ছুটের সংখ্যা কমানোর পাশাপাশি পড়ুয়া ও শিক্ষকদের মধ্যে বন্ধন আরও সুদৃঢ় করার জন্যই নতুন এই উদ্যোগ।
আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনেই পড়াশোনা,সেনাবাহিনীতে যেতে চায় নিরাশ্রয় অর্জুন
অনুষ্ঠান উপলক্ষে শুক্রবার সকাল থেকেই স্কুলে ছিল সাজো সাজো রব। বেলুন দিয়ে সাজানো হয় স্কুল প্রাঙ্গন। এরপর এদিন বিকেলে কেক কেটে পালিত হয় জন্মদিনের অনুষ্ঠান। পড়ুয়ারা সবাই জন্মদিনের টুপি পরে, মোমবাতি জ্বালিয়ে ভীষণ আনন্দের সঙ্গেকেক কাটে।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বেশিরভাগ ছাত্রছাত্রীই দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী পরিবারের সন্তান। দু' বেলা দু' মুঠো অন্ন জোগাড় করতেই তাদের পরিবার হিমশিম খায়। তাই এই সব শিশুদের পরিবারের কাছে তাদের সন্তানদের ঘটা করে জন্মদিন পালন খানিকটা অলীক কল্পনার মতোই বিষয়। সেই কারণেই এই সমস্ত শিশুদের একটু আনন্দ দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিমাই মালি। স্কুলের এই উদ্যোগে খুশি গোসাবার বিধায়ক জয়ন্ত নস্করও। খুশি পড়ুয়াদের অভিভাবকরা।