ওয়ার্ডের বুথ সভাপতির মেয়ে পেয়েছেন বাড়ি। তাঁরই ছেলে পেয়েছে সাবসিডি ঋণ। একই ওয়ার্ডের শাসক দলের প্রার্থীর স্বামী পেয়েছেন বাড়ি। শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরকমই এক গুচ্ছ স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি।
বাকি আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন। এদিকে তার আগে নির্বাচনী আবহে তপ্ত গোটা বাংলাই। এমতাবস্থায় এবার বীরভূমে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ওয়ার্ডের বুথ সভাপতির মেয়ে পেয়েছেন বাড়ি। তাঁরই ছেলে পেয়েছে সাবসিডি ঋণ। একই ওয়ার্ডের শাসক দলের প্রার্থীর স্বামী পেয়েছেন বাড়ি। শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে এরকমই এক গুচ্ছ স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযুক্তরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বছর দেড়েক আগেই রামপুরহাট পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়েছে। এরপর সরকার পছন্দের লোকেদের প্রশাসক হিসাবে চেয়ারে বসিয়েছিল। কাউন্সিলর না থাকায় রাজ্যের শাসক দল প্রতিটি ওয়ার্ডে দেখভালের জন্য একজন করে দলীয় কর্মীকে দায়িত্ব দিয়েছিল। সেই মতো রামপুরহাট পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব পেয়েছিলেন অবসর প্রাপ্ত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী অসীম মণ্ডল। তিনি ওয়ার্ড সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে গরিব মানুষের উন্নয়নের থেকে নিজের পরিবারের এবং দলীয় কর্মীদের উন্নয়ন করেছেন বেশি। এই অভিযোগ নিয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক সম্মেলন করেন ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী শ্রাবস্তী মুখোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ইউক্রেনে আটকে বাংলার দুই মেডিক্যাল পড়ুয়া, মোবাইলের দিকে ছলছল চোখে তাঁকিয়ে পরিবার
আরও পড়ুন- বিধানসভার অধিবেশন রাত ২টোয়, টুইট করে রাজ্যপাল বললেন 'নজিরবিহীন'
আরও পড়ুন- আনিস খুনের প্রতিবাদে উত্তাল আমতা থানা, গার্ডরেল তুলে ছুড়ে ফেলল বিক্ষোভকারীর দল
এই বিষয়ে তিনি বেশ কিছু প্রামাণ্য নথি দিয়ে বলেন, “তৃণমূলের ওয়ার্ড সভাপতি অসীম মণ্ডলের মেয়ে অন্তরা মণ্ডল সবার জন্য গৃহ প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন। অথচ তাঁর মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায়। অসীমবাবুর ছেলে অরিন্দম মণ্ডল ইলেকট্রিকের দোকান করার জন্য ঋণ নিয়েছেন। সেখান থেকে শুধুমাত্র সাবসিডির ৭৪,৭০০ টাকা তুলে নিয়েছেন। অথচ অরিন্দম কলকাতায় চাকরি করেন। এলাকায় কোথাও ইলেকট্রিকের দোকান নেই। একজন চাকরিজীবী কিভাবে বেকারদের ঋণ পেতে পারে? এছাড়া ওয়ার্ডে যিনি তৃণমূল প্রার্থী হয়েছেন তাঁর স্বামী সব্যসাচী আইচ সবার জন্য প্রকল্পে বাড়ি পেয়েছেন। অথচ তিনি কেবলের ব্যবসা করেন। অবস্থাপন্ন বলে এলাকার মানুষ জানেন”। শ্রাবস্তী আরও বলেন, “এলাকায় এমন বহু পরিবার রয়েছে যাদের বাড়ি নেই। যাদের বাড়ি হয়েছে তাও নিম্নমানের। সে সব দিকে নজর না দিয়ে ওয়ার্ড সভাপতি নিজের পরিবার এবং দলের উন্নয়ন বেশি করেছেন”। যদিও এনিয়ে কিছু বলতে চাননি অসীমবাবু। যদিও তৃণমূলের দাবি এই অভিযোগ একদমই ঠিক নয়। বিজেপি লড়াইয়ে না পেরে এখন মিথ্যা অভিযোগ এনে বাজিমাত করতে চাইছে। মানুষ এর জবাব দেবে। এদিকে এই ঘটনার খবর প্রকাশ্যে আসতেই জেলার রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে ব্যাপক চাঞ্চল্য।