রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই ভবানীপুরে জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন সুকান্ত। আর প্রচারের সময় বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁকে। এরই মধ্যে দু'বার পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই এবার তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।
২০ সেপ্টেম্বর বিজেপির (BJP) নতুন রাজ্য সভাপতি (Bengal President) হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন তিনি। আর তার পাঁচদিনের মাথাতেই বাড়ল সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumder) নিরাপত্তা। তাঁকে জেড ক্যাটাগরির (Z Category) নিরাপত্তা দিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এখন থেকে মোট ৩৫ জন নিরাপত্তারক্ষী (Security Person) তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।
রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পরই ভবানীপুরে (Bhawanipur) জোরকদমে প্রচার শুরু করেছেন সুকান্ত। আর প্রচারের সময় বিভিন্ন জায়গায় বাধার মুখেও পড়তে হচ্ছে তাঁকে। এরই মধ্যে দু'বার পুলিশি (Police) বাধার মুখে পড়েছেন তিনি। আর সেই কারণেই এবার তাঁকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। আজ থেকেই ওই পরিমাণ নিরাপত্তা পাচ্ছেন। বালুরঘাটের সাংসদ (Balurghat MP) হিসেবে এতদিন ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেতেন তিনি।
আরও পড়ুন- মনুয়া কাণ্ডের ছায়া বংশীহারীতে, প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে খুন করে ঝোলালো মহিলা
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) জন্য ঠিক যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে, সুকান্ত মজুমদারের জন্যও সেই ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। জানা গিয়েছে, জেড ক্যাটাগরি নিরাপত্তার মোড়কে মোট ৩৫ জন রক্ষী সর্বক্ষণ তাঁর সঙ্গে থাকবে। ৩৫ জন রক্ষীর মধ্যে ১৫ জন বন্দুকধারী সিআরপিএফ জওয়ানও থাকবেন। শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা হওয়ার পরই সুকান্তর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা পৌঁছে গিয়েছেন।
তবে শুধু নিরাপত্তা বাড়িয়েই কাজ শেষ হয়নি বিজেপির। বালুরঘাটের সাংসদ হওয়ায় এতদিন বালুরঘাটেই থাকতেন তিনি। কিন্তু, এখন তিনি দলের রাজ্য সভাপতি। আর সেই কারণে বেশিরভাগ সময়টাই তাঁকে থাকতে হবে কলকাতায়। তাই এখন কলকাতায় তাঁর জন্য বাড়ি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, এয়ারপোর্ট সংলগ্ন তোপসিয়া এলাকায় তাঁর জন্য একটি বাড়ি দেখা হয়েছে। কিন্তু, সেটা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। আগে তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরা বাড়িটি গিয়ে দেখবেন। তাঁদের যদি সব কিছু সঠিক বলে মনে হয় তবেই সেখানে থাকবেন রাজ্য সভাপতি। এমনকী, সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের থাকারও ব্যবস্থা করা হবে।
আরও পড়ুন-ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা জারি রাজ্যে, মোকাবিলা করতে আগে থেকেই তৎপর লালবাজার
সাংসদ হওয়ার পাশাপাশি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকও সুকান্ত মজুমদার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ তথা আরএসএস-এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। একটা সময় উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন মোহন ভাগবত। সেইসময় সংগঠন বিস্তারে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল সুকান্তর। মোহন ভাগবত তাঁর কাছ থেকেই সংগঠনের খোঁজ খবর নিতেন। ২০০৭ সালে উত্তরবঙ্গে সংগঠন শক্তিশালী হওয়ায় তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে পড়ে যান। অবশেষে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে রাজ্য সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁর কাঁধে।