অনুব্রতর গড়েই তৃণমূলে ভাঙন ধরালো বিজেপি। বোলপুরের শ্রীনিকেতনে এ দিন রীতিমতো যোগদান মেলা করে তৃণমূল থেকে অন্তত দু' হাজার কর্মী বিজেপি-তে যোগদান করানোর দাবি করলেন বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। যদিও বিজেপি-র এই দাবিকে মানতেই রাজি নন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর পাল্টা দাবি, দু' হাজার সমর্থক দূরে থাক, দুশো জনও এ দিন বিজেপিতে যোগ দেননি।
এ দিন বোলপুরের শ্রীনিকেতনে যোগদান মেলার আয়োজন করা হয় বিজেপি-র পক্ষ থেকে। বিজেপি জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের দাবি, তৃণমূল থেকে অন্তত দু' হাজার কর্মী এ দিন বিজেপি-তে যোগদান করেছেন। তাঁর দাবি, কোনও বড় নেতা নয়, তৃণমূলকে ক্ষমতায় আনতে যাঁরা সাহায্য করেছেন তাঁদেরকেই দলে নিয়েছে বিজেপি। রামকৃষ্ণবাবু বলেন, "আমাদের লক্ষ্য সাধারণ কর্মীদের দলে নেওয়া, কোনও বড় নেতাদের নেওয়ার লক্ষ্য ছিল না। যে সাধারণ কর্মীরা অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিল কিন্তু আজ অত্যাচারিত, তাঁরাই নরেন্দ্র মোদীর উন্নয়নকে স্বাগত জানিয়ে আমাদের দলে আজ যোগ দিয়েছেন।"
বীরভূমের দু'টি লোকসভা কেন্দ্রে এবার তৃণমূল জিতলেও অনেকগুলি বিধানসভাতেই তৃণমূলের থেকে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। এমন কী, বোলপুর পুরসভা এলাকাতেও বিজেপি এগিয়ে রয়েছে। খোদ বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ওয়ার্ডেও পিছিয়ে পড়েছে শাসক দল। এই অবস্থায় এ দিন বিজেপি-তে শাসক দলের কর্মীদের যোগদান তৃণমূলের কাছে বড় ধাক্কা।
এতদিন অনুব্রতর হঁশিয়ারি আর হুমকি শুনতেই অভ্যস্ত ছিলেন বীরভূমের মানুষ। এ দিন বোলপুরে বিজেপি-র সভা থেকে দলের জেলা সভাপতি পাল্টা তৃণমূলের মোকাবিলায় দলীয় কর্মীদের হাতের কাছে বাঁশ, লাঠ, পাথর মজুত রাখার নিদান দেন।
মুখে অবশ্য তা মানতে নারাজ অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর দাবি, এ দিনের যোগদান নিয়ে গোটাটাই মিথ্যে দাবি করছে বিজেপি। দু' হাজার তো নয়ই, দুশো জনও বিজেপি-তে যায়নি বলে দাবি তাঁর। কেষ্ট মুখে যাই বলুন না কেন, বাস্তবে যে ২০২১-এর বিধানসভা এবং আগামী বছরের পুরসভা ভোটের আগে গড় রক্ষায় তাঁকে অনেকটাই পরিশ্রম করতে হবে, সেটা স্পষ্ট।