মগরা এলাকায় একটি জঙ্গলে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা। পিকনিকের আনন্দের মাঝেই সাংগঠনিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই।
রাজনীতির মঞ্চে যেন বনভোজন বা পিকনিকেও (Picnic) শান্তি নেই...সেখানেও রাজনীতির রং লাগে। বাঁকুড়ায় বিজেপির পিকনিক (BJP Picnic) ঘিরে যে গটনা ঘটল তাতে এটুকু স্পষ্ট যে পুরসভা নির্বাচনের আগে বাঁকুড়ায় বিজেপির পিকনিক (BJP Picnic At Bankura) ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা তৈরি হতে চলেছে। পিকনিকের শেষে পদ্মফুল শিবিরের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন হাজির বিদ্রোহী বিধায়কদের (BJP MLA) একাংশ। বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকে বিজেপির পিকনিক (BJP Picnic) ঘিরে জল্পনা শুরু হল। উল্লেখ্য, এই পিকনিকে বিজেপি দলের বিদ্রোহী বিধায়কদের একাংশের উপস্থিতি সেই জল্পনা আরও বেশ খানিকটা উসকে দিয়েছে। পিকনিকের আনন্দের মাঝেই সাংগঠনিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে জমে থাকা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন অনেকেই। মাত্র কয়েকদিন আগের কথা, সপ্তাহ দুয়েক আগেই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক, নেতা ও মন্ত্রীদের পিকনিক ঘিরে জল্পনা তৈরী হয়েছিল। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই সেই একই ঘটনায় ছায়া বাঁকুড়া দু নম্বর ব্লকের বিজেপি দলের পিকনিকে (BJP Picnic)।
প্রসঙ্গত, মগরা এলাকায় একটি জঙ্গলে পিকনিকের আয়োজন করেছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা। এই পিকনিকে দেখা গেল বাঁকুড়ার বিধায়ক নিলাদ্রী শেখর দানা, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা ও সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামী সহ দলের বেশ কয়েকজন বিদ্রোহী নেতাকে। দিন কয়েক আগে দলের সাংসদ ও জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে পদত্যাগ করে ছাতনা এক নম্বর মন্ডলের বিজেপি সভাপতি জীবন মন্ডল। কিন্তু এদিনের পিকনিকের আশ্চর্যজনকভাবে তাঁকে দেখা যায় বিধায়কদের পাশে। পিকনিক শেষ হওয়ার পরই দলের জেলা নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিতে দেখা গেছে বিধায়ক ও নেতাদের একাংশের মধ্যে।
আরও পড়ুন-UP Digital Campaign: বিজেপির থ্রিডি প্রযুক্তি, কংগ্রেস-সপার সোশ্যাল মিডিয়া - ডিজিটাল যুদ্ধ
আরও পড়ুন-বাড়ছে চাপানউতর, মুকুল রায়-সহ দলবদল করা ৫ বিধায়ক সরকারি নথিতে এখনও বিজেপিতেই
আরও পড়ুন-UP Elections 2022 : করোনা যুদ্ধে নয়া মাইলফলক, কমেছে বেকারত্ব, ভোটের মুখে ৫ বছরের সাফল্যের খতিয়ান যোগীর
উল্লেখ্য, ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা প্রকাশ্যে বলেছেন, দলের জেলাস্তরের নেতৃত্বের একাংশের নাকি সাংগঠনিক ক্ষমতাই নেই। প্যারাসুটে করে নামিয়ে তাঁদের পদে বসিয়ে দেওয়া এই বিশয়টি মোটেই তাঁদের পছন্দ হয় নি। দলের মধ্যেও তা নিয়ে অসন্তোষ তৈরী হয়েছে বলে মত প্রকাশ করেন ওন্দার বিধায়ক। এদিকে আবার বিধায়কের সুরে সুর মিলিয়েছেন দলের নেতৃত্বের একাংশ। বিজেপির নিজের দলের মধ্যেই আক্রোশের রেশ দেখে, পদ্মশিবিরের কাঁটা দিয়েই কাঁটা তুলল তৃণমূল। ঘাসফুল শিবির বিজেপিকে কটাক্ষ করে বিঁধেছে তৃণমূল। শাসক দল মনে করছে, দলীয় জেলা নেতৃত্বকে না মানতে পেরে বিজেপির বিক্ষুব্ধরা নিজেরা পিকনিক করে সংগঠিত হচ্ছেন। শুধু শাসক দলই নয়, বিজেপিকে একহাত নিয়েছে বামেরাও। সিপিএম এর দাবি রাজনীতির মতো সিরিয়াস বিষয়কে পিকনিকের মতো ছেলেখেলা করে হাস্যকর করে তুলছে বিজেপি। একেই বোধয় বে ঘুঁটে পোড়ে, গোবর হাসে....