কালিয়াগঞ্জে উপনির্বাচনে হারের এবার প্রকাশ্যে বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। ফেসবুকে রায়গঞ্জের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে নিশানা করলেন মালদহে দলের পর্যবেক্ষক শংকর চক্রবর্তী। তিনি একসময়ে উত্তর দিনাজপুরের বিজেপি-এর জেলা সভাপতিও ছিলেন। শোরগোল পড়ে গিয়েছে গেরুয়াশিবিরের অন্দরে।
লোকসভা ভোটে রায়গঞ্জ আসনটি তৃণমূলের কাছ ছিনিয়ে নেয় বিজেপি। সাংসদ নির্বাচিত হন দেবশ্রী চৌধুরী। মোদী সরকারের মন্ত্রীসভায় জায়গা পেয়েছেন বাংলার এই সাংসদ। রায়গঞ্জ লোকসভার অন্তর্গত কালিয়াগঞ্জ বিধানসভা থেকে লিড পেয়েছিলেন দেবশ্রী। বিধানসভা উপনির্বাচনে কিন্তু কালিয়াগঞ্জে জিততে পারেনি বিজেপি। গেরুয়াশিবিরে সাংসদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বলে জানা গিয়েছে। আর এবার আর রাখঢাক না করে কালিয়াগঞ্জে হারের জন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকেই নিশানা করলেন বিজেপি-এর মালদহ জেলার পর্যবেক্ষক শঙ্কর চক্রবর্তী। বুধবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে তিনি লিখেছেন, 'অবশেষে কালিয়াগঞ্জের আসল কারণ পাওয়া গেল। আমি। সৌজন্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। ফোন করে জানালেন, সকালে ট্রেন বা এনআরসি নয়, নিউজপেপারের রিপোর্টাররা আমার কথায় নিউজ করে.. তাই হেরেছি। যত নিউজ হয়, সব পয়সা দিয়ে আমি করাই। ধন্যবাদ দিদি। এসব ছাড়ুন, সকালের ট্রেন দিন। তারপর পার্টি থেকে আমার মতো লোককে তাড়ান।' উল্লেখ্য, এখন রায়গঞ্জ থেকে কলকাতা যাওয়ার একটিই ট্রেন চলে রাতে। সকালেও ট্রেন চালুর জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: পুকুরে ভেসে উঠল তৃণমূলকর্মীর দেহ, চাঞ্চল্য বর্ধমানের মাধবডিহিতে
উত্তর দিনাজপুরের দাঁড়িভিট হাইস্কুলে যখন গুলি চালনার ঘটনা ঘটে, তখন বিজেপি-এর জেলা সভাপতি ছিলেন শঙ্কর চক্রবর্তী। পুলিশের বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তাঁকে জেলা সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এই বিজেপি নেতাকে মালদহ জেলার পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দিয়েছেন দলের রাজ্য নেতৃত্ব। স্রেফ ফেসবুকে নিশানা করাই নয়, দেবশ্রী চৌধুরীকে ফোনে রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ অবশ্য প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।