সংক্ষিপ্ত
- বর্ধমানে তৃণমূলকর্মীর রহস্যমৃত্যু
- বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন তিনি
- বাড়ির কাছে পুকুরে মিলল দেহ
- বিজেপি-এর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথের
বাজার যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আর ফেরেননি। বুধবার সকালে পুকুরে ভেসে উঠল এক তৃণমূলকর্মীর দেহ। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি এলাকায়। বিজেপির বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলেছেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: প্রেমিকের মোবাইল বন্ধ, অভিমানেই আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী
মৃতের নাম অনিল মাঝি। বাড়ি, মাধবডিহি এলাকার পূর্ব পাড়ায়। এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন অনিল। পরিবারের লোকের জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাজারে গিয়েছিলেন তিনি। আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে ফোনে যোগোযাগ করার চেষ্টা করেছিলেন তাঁরা। কিন্ত ফোনেও ওই তৃণমূলকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। বুধবার সকালে বাড়ির কাছেই একটি পুকুরে অনিলের দেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় মাধবদিহি থানায়। পুলিশ মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অনিল মাঝির মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার চিহ্ন মিলেছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এদিকে খবর পেয়ে বেলার দিকে হাসপাতালে যান মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মন্ত্রীর বক্তব্য, 'তৃণমূলের অত্যন্ত দক্ষ সংগঠক ছিলেন অনিল মাঝি। চক্রান্ত ওঁকে খুন করেছে বিজেপি। এসপি-এর কাছে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছি।' গেরুয়াশিবিরের পাল্টা দাবি, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে খুন হয়েছে ওই তৃণমূলকর্মী।
আরও পড়ুন: স্বামীর উপর রাগ করে পথ হারালেন গৃহবধূ, মাঝরাতে সহায় তৃণমূল নেতা
উপনির্বাচনের ফল বেরনোর থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক অশান্তি বেড়েছে। মঙ্গলবার দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বাসন্তীতে খুন হন এক তৃণমূলকর্মী। দোষীদের শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে এলাকা। অবরোধ করা হয় জাতীয় সড়কও। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফোন পেয়ে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার বর্ধমানে খুন হয়ে গেলেন এক তৃণমূলকর্মী।