'যে কেন্দ্রেই দাঁড়াবেন, ওঁকে হারিয়ে দেব', জ্যোতিপ্রিয়কে চ্যালেঞ্জ দিলীপের

  • বছর ঘুরলেই বিধানসভা ভোট
  • জনসংযোগ জোর দিচ্ছে বিজেপি
  • চায়ে-পে-চর্চার আসর বসল বারাসতে
  • জ্যোতিপ্রিয়কে খোলা চ্যালেঞ্জ দিলীপের

Asianet News Bangla | Published : Nov 16, 2020 10:15 AM IST / Updated: Nov 16 2020, 04:38 PM IST

উৎসবের মরশুমে চড়ছে রাজনীতির পারদ। বছর ঘুরলেই যে বিধানসভা নির্বাচন! ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত রাজনৈতিক শিবির। বারাসতে গিয়ে এবার খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নিশানা করলেন বিজেপি-এর রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর চ্যালেঞ্জ, 'জ্যোতিপ্রিয় কোথায় দাঁড়াবেন শুধু বলুন। যে কেন্দ্রেই দাঁড়াবেন, ওঁকে হারিয়ে দেব। ওঁকে আর মানুষ চায় না।'

আরও পড়ুন: 'বাংলাকে গুজরাট বানাবে বিজেপি', রাজ্য়ে চাকরির প্রসঙ্গ তুলে বিস্ফোরক দিলীপ

বাংলায় বিধানসভা ভোটে দামামা বেজে দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কায়দাতেই জনতার ভিড়ে মিশে গিয়ে বাজিমাত করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। রাজ্যে বিভিন্ন প্রান্তে চায়ে-পে-চর্চা কর্মসূচি নিয়েছেন গেরুয়াষশিবিরের নেতারা। বাদ যাচ্ছেন না খোদ দলের রাজ্য় সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রায় প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চা-চক্রের যোগ দিচ্ছেন তিনি। কথা বলছেন স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে।

সোমবার দলের কর্মসূচিতে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড় বারাসতে হাজির হয়েছিলেন দিলীপ। চায়ে-পে-চর্চা আসর বসেছিল কলোনির মোড়ে। স্রেফ চ্যালেঞ্জ ছোঁড়াই শুধু নয়, কাটমানি ইস্যুতে খাদ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, বাংলাকে  গুজরাটের মতোই উন্নতি শিখরে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের লক্ষ্য। পাল্টা জবাব দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিকও।  তিনি বলেন, 'উনি পাগলের মতো কথা বলছেন। নিজেদের সংগঠনের জোর নেই অথচ আমাদের হারানোর কথা বলছেন। ভোটের আগে ওঁরাই রাজ্যে অশান্তি তৈরি করছে, অস্ত্র আমদানি করছেন। গুজরাট কিংবা উত্তরপ্রদেশ মডেল এখানে চলবে না, এটা বাংলা। আগে উত্তরপ্রদেশে যে অরাজকতা চলছে, তা বন্ধ করুন, তারপর বাংলা নিয়ে ভাববেন।'

আরও পড়ুন: পাক সেনার গুলিতে নিহত সুবোধের কফিনবন্দি দেহ পৌঁছল তেহট্টে, গান স্যালুট দিয়ে জওয়ানকে শেষশ্রদ্ধা

উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে একদিনের ঝটিকা সফরে রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একুশের বিধানসভা ভোটে নেতাদের দুশোরটিরও বেশি আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিয়ে গিয়েছেন তিনি। সে লক্ষ্যে এখন জনসংযোগে বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছেন বঙ্গ বিজেপি নেতারা। শাসকদল কীভাবে তা মোকাবিলা করে, এখন সেটাই দেখার।

Share this article
click me!