উপনির্বাচনের আগে দুই জেলার পুলিশ সুপারকে ফোনে হুমকি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই উপনির্বাচনে শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে পুলিশ।
এ দিনই উপনির্বাচন চলাকালীন নদিয়ার করিমপুরে আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী জয়প্রকাশ মজুমদার। মারধর করার পর তাঁকে লাথি মেরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মুকুলবাবুর অভিযোগ, পুলিশের সামনেই আক্রান্ত হন বিজেপি প্রার্থী। ঘটনার জন্য সরাসরি জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে দায়ী করেছেন মুকুলবাবু। অবিলম্বে ওই দু' জনকে বরখাস্ত করার জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।
আরও পড়ুন- বুথে বসেই বিজেপিকে ভোট দিতে চাপ, আটক পোলিং অফিসার
আরও পড়ুন- লাথি খেয়ে ঝোপে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী, চরম উত্তেজনা করিমপুরে, দেখুন ভিডিও
এই প্রসঙ্গেই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে মুকুল রায় দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই শাসক দলের হয়ে কাজ করেছে পুলিশ। চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করে তিনি বলেন, 'আমার কাছে নির্দিষ্ট খবর আছে, বহরমপুর যাওয়ার সময় হেলিকপ্টার থেকেই সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্তার ফোন থেকে মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার বদলি করে দেওয়ারল হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। একই ভাবে তিনি নদিয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকেও ভয় দেখিয়েছেন।'
মুকুলবাবু অভিযোগ করেন, করিমপুরের মতো খড়্গপুর সদর এবং কালিয়াগঞ্জেও বুথ জ্যাম করে ভোট করানোর চেষ্টা করেছে শাসক দল। খড়্গপুরে উর্দি পরে তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার জন্য পুলিশকর্মীরা ভোটারদের প্রভাবিত করেছেন বলেও অভিযোগ করেন বিজেপি নেতা। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তাঁর অবশ্য দাবি, এত কিছুর পরেও তিনটি কেন্দ্রেই জয়ী হবে বিজেপি।