নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সিপিএম এবং কংগ্রেসের পরকীয়া প্রেম প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এমনই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। বাঁকুড়ার বড়জোড়াতে নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নিতে এসে শনিবার এমনই কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা। প্রসঙ্গত শনিবারই বাঁকুড়ায় নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় একটি মিছিল করেন সিপিআইএম নেতা বিমান বসু। সেই মিছিল থেকে আবার বিজেপি-র সঙ্গে তৃণমূলের যোগসাজশের অভিযোগ তোলেন প্রবীণ সিপিআইএম নেতা।
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় যখন তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএম-এর মতো দলগুলি রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নেমেছে, তখন তার পাল্টা হিসেবে নয়া আইনের সমর্থনে জেলায় জেলায় অভিনন্দন যাত্রা শুরু করেছে বিজেপি। বাঁকুড়ার বড়জোড়া শহরে শনিবার অভিনন্দন যাত্রায় অংশ নেন মুকুল রায় এবং বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেই মিছিল শেষেই সিপিএম এবং কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে মুকুল রায় বলেন, 'কংগ্রেস এবং সিপিএম-এর মধ্যে গোপন প্রেম চলছিল। একটু আড়ালে, আবডালে। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করতে গিয়ে সেই প্রেম প্রকাশ্যে চলে এসেছে। সকলেই এখন একজোট হয়ে লড়াইয়ে নেমেছে।' সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে প্রত্যাশিতভাবে তৃণমূলকেও আক্রমণ করেন বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, সিপিএম, কংগ্রেসের সঙ্গে এই প্রেমে তৃণমূলও সামিল হয়েছে।
বাঁকুড়ার সোনামুখীতে শনিবার নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় মিছিল করেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সোনামুখী শহরের পনেরোটি ওয়ার্ডে ঘোরে এই মিছিল। আগামী ৮ জানুয়ারি ডাকা ধর্মঘটের সমর্থনেই এই মিছিলের আয়োজন করা হয়। তৃণমূলের সমালোচনা করে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান প্রশ্ন তোলেন, লোকসভা এবং রাজ্যসভায় কেন তৃণমূল সাংসদরা এনআরসি-র বিরোধিতা করেননি? তিনি আরও দাবি করেন, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বোঝাপড়ার রাজনীতি করছেন। বিমানবাবু বলেন, 'শুধু হাঁটলে তো হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর দলের সাংসদরা কেন রাজ্যসভা এবং লোকসভায় ছিলেন না, সেটা ওনাকে বলতে হবে। এভাবে বোঝাপড়ার রাজনীতি করা ঠিক নয়।' বিমানবাবুর এই অভিযোগ ঠিক নয় বলেই অবশ্য পাল্টা দাবি করেন মুকুল রায়।