নৈহাটিতে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের নেপথ্যে জামাত ও বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীরা! বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। শুধু তাই নয়, প্রধানমন্ত্রী কলকাতা সফরের আগে এনআইএ তদন্তও শুরু হয়ে যেতে পারে বলে দাবি করেছেন তিনি। এদিকে শনিবার নৈহাটিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় মারা গেলেন আরও একজন।
শুক্রবার দুপুরে যখন নৈহাটির মামুদপুরের দেবক এলাকায় বাজি কারখানায় যখন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে, তখন কারখানায় কাজ করছিলেন ৫ জন শ্রমিক। বিস্ফোরণের পর কারখানাটিতে আগুন লেগে গিয়েছিল। যুদ্ধকালীন তৎপতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনেন দমকলকর্মীরা। বেশ কয়েক ঘণ্টা পর উদ্ধার করা হয় পাঁচজন শ্রমিককে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চারজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। গুরুতর আহত অবস্থায় একজন ভর্তি ছিলেন কল্য়াণী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। শনিবার ভোরে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান তিনি। ঘটনার প্রতিবাদে দেবক মোড় এলাকায় দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা নিজে ঘটনাস্থলে যান, কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে। সূত্রের খবর, এলাকায় যে বেআইনিভাবে বেশ কয়েকটি বাজি কারখানা চলছে, তা স্বীকার করে নিয়েছেন খোদ পুলিশ কমিশনার। নৈহাটিতে যে বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ঘটেছে,সেই কারখানা থেকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরাও নমুনা সংগ্রহ করবেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: নৈহাটির বিস্ফোরণ নিয়েও তোপ, ধনখড়ে নিয়ে এবার মোদী-শাহকে প্রশ্ন করবে তৃণমূল
কিন্তু বাজি কারখানায় এমন ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটল কী করে? সরকারের উপর চাপ বাড়িয়ে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছেন বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। এবার আরও একধাপ এগিয়ে সরাসরি জামাত ও বাংলাদেশের অনুপ্রবেশকারীদের দিকে আঙুল তুললেন গেরুয়াশিবিরের নেতা সায়ন্তন বসু। বস্তত, নৈহাটিতে বিস্ফোরণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। তাঁর টুইট, 'ওই কারখানায় সত্যিই দেশি বোমা তৈরি হত কিনা, তা তদন্ত করে দেখা প্রয়োজন।' পাল্টা সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলও। সংসদের বাজেট অধিবেশন খোদ মোদী ও অমিত শাহ-র কাছে রাজ্যপালকে নিয়ে প্রশ্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলের পরিষদীয় দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।