সাংবাদিকেরা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রসঙ্গ তুলতেই মেজাজ হারাতে দেখা যায় শান্তনু ঠাকুরকে। এমনকী এই ইস্যুতে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই জবাব তিনি দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
দল থেকে সাময়িক ভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরই বিজেপি-র বিরুদ্ধে একাধিক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে থাকেন জয়প্রকাশ মজুমদার। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে বঙ্গ রাজনীতির অন্দরে। অন্যদিকে দুদিন আগেই দল বিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগে প্রথমে শোকজ করা হয় বিজেপির দুই নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ও রীতেশ তিওয়ারিকে (BJP Leader Joy Prakash Majumder and Ritesh Tiwari)। এরপর ফের তাদের দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাময়ি কভাবে বরখাস্ত করা হয়। এদিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত হওয়ার পরেই জয়প্রকাশ মজুমদার কার্যত তোপ দাগেন বঙ্গ বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের(BJP state president Sukanta Majumder) বিরুদ্ধে। দলে তাঁর ভূমিকা ও অভিজ্ঞতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কার্যত কটাক্ষের সুরে জয়প্রকাশকে বলতে শোনা যায়, "বর্তমান রাজ্য সভাপতি আড়াই বছর রাজনীতি করছেন । সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদকের মাত্র ২ বছরের অভিজ্ঞতা।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউজে মিটিংয়ের পর শান্তনু ঠাকুরের (Shantanu Thakur) সঙ্গে বৈঠক সেরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে দেখা যায় জয়প্রকাশ মজুমদারকে। সেখানে একাধিক মন্তব্য করেন তিনি। যা নিয়ে জোরদার চর্চা শুরু হয় রাজনৈতিক মহলে। সেদিনের করা তার মন্তব্যের জেরেই এদিনের শো-কজ নোটিশ বলে মনে করছে ওয়াকিবাল মহল। এদিকে সম্প্রতি রাজ্য কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিজেপির অন্দরে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করে। নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়া একের পর এক নেতারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই তালিকায় ছিলেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদার এবং রিতেশ তিওয়ারিরা।
আরও পড়ুন-‘দুয়ারে মদে’ সবুজ সংকেত আবগারি দপ্তরের, কবে থেকে ঘরে বসেই মদ পাবেন সুরপ্রেমীরা
যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই বিজেপির অন্দরে বাড়ছিল ক্ষোভের আগুন। এমনকী একাদিক গ্রুপ ছেড়ে বেড়িয়ে যান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। যা নিয়েও শুরু হয় জল্পনা। এমতাবস্থায় এবার জয়প্রকাশের সঙ্গে শান্তনুর নাম জড়িয়ে যাওয়ায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি। এদিকে বুধবার ঠাকুরনগরে ঠাকুরবাড়িতে মেডিক্যাল ক্যাম্পে আসেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। কিন্তু সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকেরা জয়প্রকাশ মজুমদারের প্রসঙ্গ তুলতেই মেজাজ হারাতে দেখা যায় তাঁকে। এমনকী এই ইস্যুতে সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নেরই জবাব তিনি দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
আরও পড়ুন-চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন, ৫০০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দায়ের FIR
অন্যদিকে জয়প্রকাশের দাবি তিনি দলবিরোধী মন্তব্য করেননি, শুধু শান্তনু ঠাকুরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই এদিন মেজাজ হারান শান্তনু ঠাকুর। এদিকে জয়প্রকাশ কাঁটায় যখন ক্রমাগত বিদ্ধ হচ্ছে বঙ্গ বিজেপি তখন ফের একবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ বক্তব্যআগে “দিলীপ ঘোষ সভাপতি ছিলেন। তখন আমরা সবাই তাঁর অনুগামী ছিলাম। এখন আমি সভাপতি। সবাই বিজেপির অনুগামী। পতাকার অনুগামী। কিছু করার নেই। মেনে নিতে হবে এটা।” তাঁর এই মন্তব্য নিয়েও নতুন করে শুরু হয়েছে চাপানউতর।
আরও পড়ুন-একটি নয়, একসঙ্গে দুটি নয়া পালক ভারতের সোনার ছেলে নীরজের মুকুটে