সংক্ষিপ্ত

দুয়ারে মদে সবুজ সংকেত আবগারি দপ্তরের, কবে থেকে ঘরে বসেই মদ পাবেন সুরপ্রেমীরা

দুয়ারে রেশনের পর এবার তবে কী দুয়ারে মদ! এই প্রশ্নই গত কয়েক মাস ধরে ঘোরাফেরা করছিল বাংলার আনাচে-কানাচে। আবগারি দফতর সূত্রে খবর, এই প্রকল্পের বিষয়ে ইতিমধ্যেই কথাবার্তা হয়ে গিয়েছে মদের ই–রিটেল করতে আগ্রহী সংস্থাদের সঙ্গে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে বাড়ি বাড়ি সব রকমের মদ পৌঁছে দেওয়ার পরিষেবা শুরু করেছিল রাজ্য সরকার। এলাকা অনুযায়ী মদের দোকানগুলি তাদের নিজস্ব কর্মীদের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি অর্ডার অনুযায়ী বিয়ার, হুইস্কি, রাম(Beer, whiskey, rum)ইত্যাদি পৌঁছে দিত। এবার এই মদ ডেলিভারিতে ই-রিটেল পরিষেবা (E-retail service in wine delivery) পাকাপাকি ভাবে চালু রাখতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার(Government of West Bengal)। যদিও এই প্রকল্পের যে বাস্তাবায়ন হবে সেই কানাঘুঁষো আগেই শোনা গিয়েছিল। কিন্তু কবে থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে সেই বিষয়ে বিশেষ কিছু জানা যাচ্ছিল না।

আবগারি দপ্তর সূত্রে খবর, মদের ই–রিটেল করতে আগ্রহী সংস্থাদের কাছ থেকে আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছিল। তবে আবেদনের শর্ত হিসাবে সরকারের তরফে স্পষ্ট বলা হয়েছিল যারা অনলাইনে মদ ডেলিভারির দায়িত্ব এবং বিভিন্ন খুচরো দোকান থেকে মদ কিনে ক্রেতাদের দুয়ারে পৌঁছে দিতে পারবেন তারাই যেন আবেদন করেন। এরপরই সরকারের কাছে একাধিক সংস্থার আবেদনপত্র পৌঁছে যায়। তারপর থেকে এখনও পর্যন্ত চারটি সংস্থাকে বাছা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এর মধ্যে মাত্র একটি কলকাতার সংস্থা রয়েছে। বাকি তিনটি বাইরের রাজ্যের বলে খবর। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী খুব সম্ভবত ফেব্রুয়ারি মাসেই ৪ সংস্থার সঙ্গে এই বিষয়ে চূড়ান্ত চুক্তি করবে সরকার। যদিও কোন সংস্থা কোন এলাকায় কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে, কীভাবে অনলাইনে অর্ডার নেওয়া হবে সেই সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে।

আরও পড়ুন- চাকরি প্রার্থীদের আন্দোলনে প্যাসেঞ্জার ট্রেনে আগুন, ৫০০ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে দায়ের FIR

আরও পড়ুন-জয়প্রকাশ কাঁটায় বিদ্ধ পদ্ম শিবির, বিজেপিতে ক্রমশ প্রকট হচ্ছে আদি বনাম নব্য দ্বন্দ্ব

এদিকে এই খবর সামনে আসা মাত্রই খুশির জোয়ার বয়ে গিয়েছে সুরাপ্রেমীদের মধ্যে। অনেক প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন আর অপেক্ষা কতদিনের ? এদিকে আগামী মাস থেকেই প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রজেক্ট শুরুর কথা শোনা গেলেও শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির চুক্তি পর্ব শেষ হলে এপ্রিল মাস থেকে পাকাপাকি ভাবে শুরু হয়ে যেতে পারে এই পরিষেবা। তবে প্রাথমিক ভাবে শহরাঞ্চল ও মফঃস্বলগুলিতে এই পরিষেবা শুরু হতে পারে। ধীরে ধীরে তা গ্রামাঞ্চল সহ গোটা রাজ্যেই শুরু সম্ভবনা রয়েছে। 

আরও পড়ুন- একটি নয়, একসঙ্গে দুটি নয়া পালক ভারতের সোনার ছেলে নীরজের মুকুটে