তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে যখন একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ, তখন বিজেপির মিটিংয়ের বাইরে দলেরই নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল।
কলকাতার হো চি মিন সরণিতে অবস্থিত ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস কেন্দ্রে শনিবার মোদীর ২০ বছরের শাসনকাল উদযাপনের অনুষ্ঠান। সকাল থেকে দফায় দফায় তাতে অংশ নেন বিজেপির তফসিলি থেকে সব শাখার প্রতিনিধিরাই। সেখানে বক্তৃতা করছিলেন জাভড়েকর। সেই সময়ই আইসিসিআর-এর বাইরে বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বেধে গেল ধুন্ধুমার।
সব্যসাচী রায়চৌধুরী নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করতে শুরু করেন বিজেপি-র অভিজিৎ নাহা। ‘তৃণমূলের দালাল’, ‘তোলাবাজ’ বলে চূড়ান্ত কাদা ছোড়াছুড়ি চলতে থাকে। সব্যসাচীর কলার ধরে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অভিজিৎ। আরও কয়েক দজনকে ওই গণ্ডগোলে দেখা যায়। সেখানে সব্যসাচীর উদ্দেশে অভিজিৎকে বলতে শোনা যায়, "তৃণমূলের দালাল। আইপিএস বলে পরিচয় দিয়ে টাকা তোলেন। সিবিআই-এর নাম করে টাকা তোলেন বিভিন্ন জায়গায়। দলের নেতাদের নাম করে গরিব, বেকার ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে টাকা তোলেন।"
পালটা অভিজিতের উদ্দেশে সব্যসাচী বলেন, "গরু চুরি করো তোমরা।" তিনি নিজে মোদীর ২০ বছরের শাসনকাল উদযাপনে আসেননি, আইনজীবী হিসেবে বঙ্গ বিজেপি-র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য ওকালতনামায় সই করতে তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বলেই তিনি এসেছিলেন বলে জানান সব্যসাচী। হাতাহাতি, মারধর চলতে থাকে।
বাইরের এই ঝামেলার খবর এর পর ভিতরেও পৌঁছয়। তাতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "একথা ঠিক যে, ওকালতনামায় সই করার জন্য এসেছিলেন উনি। কলকাতা পৌরসভা নির্বাচনের আগে অভিজিৎ নাহাই বাড়িতে নিয়ে গিয়ে সব্যসাচী রায়চৌধুরীর সঙ্গে আমার পরিচয় করিয়ে দেয়। উনি দলের সদস্য নন। আমি শুধু বলতে পারি, আমার সল্টলেকের বাড়িতে এসে সব্য়সাচীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয় অভিজিৎই। উনি সাবর্ণ্য রায়চৌধুরীর পরিবারের ছেলে। এর বাইরে কিছু বলছি না।"
আরও পড়ুন-
আরও সম্পত্তি সুকন্যা মণ্ডলের নামে, অনুব্রত-কন্যার বহু জমিজমার হদিশ পেল সিবিআই
এসএসসির টাকায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আত্মীয়ের জমি-বাড়ি-ব্যবসা? সিবিআইয়ের জালে প্রসন্ন রায়
"দলের মধ্যে কিছু লোক খারাপ কাজ করেছে,যারা খারাপ কাজ করেছে", দলীয় নেতাদের প্রকাশ্যেই বিঁধলেন সৌগত রায়