ভোটের ছ' মাস আগেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের

Published : Sep 11, 2019, 11:52 AM ISTUpdated : Sep 11, 2019, 12:00 PM IST
ভোটের ছ' মাস আগেই বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের

সংক্ষিপ্ত

বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে বলে ঘোষণা ভোটের ছ' মাস আগেই ভেঙে দেওয়া হবে রাজ্য সরকার, দাবি বিজেপি সাংসদের  


বিধানসভা নির্বাচনের ছ' মাস আগে ভেঙে দেওয়া হবে রাজ্য় সরকার। জারি হবে রাষ্ট্রপতি শাসন। ফলে ভোটের অনেক আগে থেকেই পুলিশের নিয়ন্ত্রণ থাকবে না রাজ্যের হাতে। মঙ্গলবার প্রকাশ্যেই এমন দাবি করলেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। কীসের ভিত্তিতে বিজেপি সাংসদ এই দাবি করলেন, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার বীরভূমের সিউড়িতে বিজেপি-র একটি প্রতিবাদ সভায় এমনই মন্তব্য করেছেন সৌমিত্র খাঁ। বীরভূমে দলের  কর্মী, সমর্থকরা যাতে পুলিশ এবং শাসক দলের ভয় ছেড়ে পাল্টা আন্দোলনে নামেন, সেই বার্তাই দিচ্ছিলেন বিষ্ণপুরের সাংসদ। তখনই তিনি বলেন, 'আর ছ' মাস পরে রাষ্ট্রপতি শাসন হবে। তখন পুলিশ পোস্টিং রাজ্যপাল করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাবছেন উনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে থেকে পুলিশ পোস্টিং করিয়ে ভোটে জিতে যাবেন। সেটা হবে না। ২০০৪ সালে বিহারে লালুপ্রসাদ যাদব এরকম অত্যাচার করেছিলেন। তখন ভোটের ছ' মাস আগে সরকার ভেঙে দিয়ে রাজ্যপালকে দিয়ে সমস্ত পুলিশ অফিসার নিয়োগ হয়েছিল। এখানে তো আর মাত্র পাঁচ, ছ' টা মাস। কেস ওরা দিক না।'

পুলিশের সমালোচনায় সরব হয়ে সৌমিত্র বলেন, 'আমাদের পুলিশ অফিসারের লিস্ট আমরা তৈরি করি। আর সাত, আটমাস পরেই পুলিশের ক্ষমতা শেষ হয়ে যাবে। তার পরে আমাদের ভারতীয় জনতা পার্টির মুধ্যমন্ত্রী হবেন।' রীতিমতো হিসেব কষে বিজেপি সাংসদ বলে দেন, আগামী বছর অগাস্ট থেকেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়ে যাবে। 

আরও পড়ুন- মুকুল- দিলীপ দ্বন্দ্বে ঘোর অস্বস্তি বিজেপি-তে, দুই নেতাকে ডাকলেন অমিত শাহ

আরও পড়ুন- অনুপ্রবেশকারী হটাতে আগে কী করেছিলন, মমতাকে খোঁচা স্মৃতির

শুধু তাই নয়, মঙ্গলবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও নিশানা করেছেন সৌমিত্র খাঁ। বিষ্ণপুরের সাংসদ পি চিদম্বরমের প্রসঙ্গ টেনে এনে বলেন. 'আভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও জেলে যাওয়ার খুব কাছাকাছি জায়গায় চলে গিয়েছেন।' শুধু তাই নয়, সৌমিত্র খাঁ দাবি করেন, বীরভূমে তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলও নাকি মামলা থেকে বাঁচতে বিজেপি-তে যোগদানের চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁকে দলে নেওয়া তো হবেই না, উল্টে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এক হাজার কেস দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ। 

PREV
click me!

Recommended Stories

লিওনেল মেসির অনুষ্ঠানে চরম বিশৃঙ্খলা, স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের
'বাংলার ফুটবল ইতিহাসে আজ কলঙ্কময় দিন', যুবভারতীর ঘটনায় তীব্র নিন্দা সুকান্তর