সংক্ষিপ্ত

অনুপ্রবেশকারী হটাতে আগে কী করেছিলেন

 মমতাকে খোঁচা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানির

ডেপুটি স্পিকারের মুখে কাগজ ছুড়েছিলেন মমতা

এখন এনআরসির বিরোধিতা করছেন মুখ্যমন্ত্রী

এখন এনআরসির বিরোধিতা করছেন। অতীত ঘেঁটে দেখুন আগে অনুপ্রবেশকারী হটানোর দাবিতে কী করেছিলেন মমতা। কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা দিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন স্মৃতি ইরানি।

রাজ্যে এসে এবার তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে গেলেন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। দিদিকে স্মৃতির খোঁচা, ২০০৫ সালের ৪ অগস্ট অনুপ্রবেশকারী হটানোর প্রতিবাদে ডেপুটি স্পিকারের মুখে কাগজ ছুড়েছিলেন মমতা। মুখ্য়মন্ত্রীর এই অবস্থান পরিবর্তনই দেখিয়ে দেয়, এনআরসি নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন মুখ্য়মন্ত্রী। স্মৃতির অভিযোগ,মমতার সরকার এখন কেন্দ্রীয় সরকার বিরোধী অবস্থান নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের যে প্রকল্পগুলো রাজ্যের উপকারে আসবে সেগুলোর বিরোধিতা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে সাধারণ মানুষের জন্য যে সুযোগ-সুবিধা এবং প্রকল্প কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে লাগু করা হয়েছে, তার বেশিরভাগটাই ঢুকতে দেননি মমতা। স্মৃতির আক্ষেপ,  উজ্জ্বলা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো যোজনার সুবিধা সারা ভারত পেলেও বাংলার মানুষ তা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। 

মমতাকে কোণঠাসা করতে এই বলেই থেমে থাকেননি স্মৃতি ইরানি। তাঁর অভিযোগ, কেন্দ্রীয় সরকারের  পরিষেবা সংক্রান্ত বৈঠকে যোগ দেন না রাজ্যের কোনও প্রতিনিধি। মমতা কেবল কেন্দ্রীয় সরকারের নিন্দাতেই ব্য়স্ত থাকেন। 

ভালো কাজে কখনোই অংশ নেয় না। রাজ্যের সাম্প্রতিক রাজনীতির মানচিত্র বলেছে, অসমে এনআরসি লাগু হওয়ার পর থেকেই এর বিরোধিতা করছে মমতার সরকার। এমনকী বিধানসভায় বিজেপি ছাড়া এনআরসি বিরোধিতায় সরব হয়েছে প্রায় সব দল। রাজ্যজুড়ে এনআরসি বিরোধিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাস্তায় নেমেছে তৃণমূল। যদিও মমতার এই এনআরসি বিরোধিতাকে সুস্থ চিন্তা বলে মানতে নারাজ কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তাঁর মতে,পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি হবে। তবে এনআরসির উদ্দেশ্য কাউকে তাড়ানো নয়। এর মূল উদ্দেশ্য় দেশের স্বার্থরক্ষা করা। ভারতীয় নাগরিকের স্বার্থ সুরক্ষিত করেই এই কাজ করবে কেন্দ্রীয় সরকার।

এদিন মোদী সরকারের ১০০দিনের সাফল্য়ের খতিয়ান তুলে ধরেন স্মৃতি ইরানি। তিনি বলেন,এই সরকার তিন তালাক প্রথা বিলোপ, জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে ৩৭০ ধারা বিলোপ, ব্যাঙ্কের সংযুক্তিকরণের  মতো সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। কৃষকদের উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় কঠোর আইন এনেছে। এই থেকেই সরকারের ভবিষ্য়ৎ কর্মসূচি সম্পর্কে আঁচ করা যায়।