বাম, কংগ্রেস সমর্থিত ট্রেড ইউনিয়নগুলির ভারত বনধের অন্যতম ইস্যুই ছিল নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা। আর ভারত বনধের দিন সেই নাগরিকত্ব আইন নিয়েই সাধারণ মানুষকে বোঝালেন বাঁকুড়ার বিজেপি-র সাংসদ সুভাষ সরকার। শুধু মানুষকে বোঝানোই নয়, নয়া আইনের সমর্থনে সাধারণ মানুষের থেকে সইও সংগ্রহ করেন তিনি।
এ দিন সকাল থেকেই বাঁকুড়ায় বনধের মিশ্র প্রভাব পড়েছিল। বহু দোকানপাটও বন্ধ ছিল। বেলা বাড়তেই বনধের সমর্থনে মিছিল বের করেন বাম এবং কংগ্রেস সমর্থকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই দেখা যায়, বনধের মধ্যেই বাঁকুড়া শহরের লালবাজার মোড়ে দলীয় কর্মীদের নিয়ে বেরিয়ে পড়েন সাংসদ সুভাষ সরকার। জনে জনে নাগরিক আইন নিয়ে বোঝাতে শুরু করেন সুভাষবাবু। সাধারণ মানুষকে তিনি বোঝান, নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে তৃণমূল, কংগ্রেস, সিপিএমের মতো দলগুলি। সাধারণ মানুষকে তিনি বলেন, নাগরিকত্ব আইনে কারও নাগরকিত্ব কেড়ে নেওয়া হবে না। বরং বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে সেদেশের সংখ্যালঘুরা অত্যাচারিত হয়ে এ দেশে আশ্রয় নিলে তাঁদেরকে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে।
নতুন আইন নিয়ে বোঝানোর পাশাপাশি সাধারণ মানুষের থেকে নাগরিক আইনের সমর্থনে সইও সংগ্রহ করেন সুভাষবাবু। সঙ্গে তাঁদের ফোন নম্বরও নিয়ে নেওয়া হয়। বিজেপি নেতাদের দাবি, এর ফলে এক ঢিলে দুই পাখি মারলেন বাঁকুড়ার সাংসদ। একদিকে যেমন বনধের বিরোধিতাও করা হল রাস্তায় নেমে, অন্যদিকে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারও করা হয়ে গেল।