বাংলা থেকে কতজন সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্সে সুযোগ পায়, ফলে তা বাংলায় জয়েন্ট এন্ট্রান্সের প্রশ্ন নিয়ে নাচানাচি করে কী হবে? জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষায় গুজরাতিতে প্রশ্ন করা নিয়ে এবার কার্যত বাংলা মাধ্যমের পরীক্ষার্থীদের মেধা নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। একই সঙ্গে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে তাঁর অভিযোগ, সময় থাকতে কেন বাংলায় প্রশ্নপত্র করার জন্য় কেন্দ্রকে জানানো হয়নি?
সোমবার নবদ্বীপে রাস মেলার অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করেন দিলীপবাবু। গুজরাতিতে প্রশ্ন করার সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, 'গুজারিতে কত হাজার পরীক্ষা দেয়, আর বাংলায় কতজন পরীক্ষা দেয়, সেটা হিসেব করে দেখা উচিত। বাংলা মিডিয়াম থেকে কতজন জয়েন্টে চান্স পায়? যেখানে পরীক্ষাই দিতে পারে না, সেখানে বাঙালি নিয়ে নাচানাচি করে কী লাভ? এটা নিয়ে রাজনীতি হতে পারে, সমাজের কোনও লাভ হবে না।' দিলীপের অভিযোগ, জয়েন্টের প্রশ্নপত্রের ভাষা নির্বাচনের আগে সব রাজ্যেরই মতামত চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। তখন রাজ্যের তরফে কিছুই জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন - জয়েন্টে বাংলার জন্য আগেই চিঠি দিয়েছি, ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সিকে জবাব মুখ্য়মন্ত্রীর
আরও পড়ুন- মমতা-সুজন একমত, বাংলা হোক জয়েন্টের পথ
খড়্গপুরের সাংসদের অবশ্য দাবি, বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলির বেহাল অবস্থার জন্যই সর্বভারতীয় স্তরে সুযোগ পাচ্ছেন না বাঙালির। রাজ্য সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, 'বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি আগে ঠিক করা হোক। যাঁরা বাংলা মাধ্যম স্কুলে শিক্ষকতা করেন, তাঁদের ছেলেদেরই বাংলা মিডিয়ামে পড়ান না। কোনও নেতার ছেলে বাংলা মিডিয়াম স্কুলে পড়ে না, খালি নাটকবাজি।
সর্বভারতীয় জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ইংরেজি, হিন্দি, গুজরাতির মতো কেন বাংলাতেও করা হবে না, এই নিয়ে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে সিপিএমও। নিজেদের গাফিলতি ঢাকতেই তৃণমূল এখন প্রশ্নপত্র বিতর্ক নিয়ে শোরগোল করছে বলে অভিযোগ বিজেপি-র। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও টুইটারে দাবি করেন, রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে কিছু না জানানোর কারণেই জয়েন্টের প্রশ্ন বাংলায় হয়নি।
বিজেপি নেতাদের এই দাবি অবশ্য মানতে নারাজ তৃণমূল। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী এবং তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, কোনও তথ্য না জেনেই জয়েন্টে বাঙালিদের সুযোগ পাওয়া নিয়ে এমন দাবি করেছেন দিলীপ। তাঁর পাল্টা কটাক্ষ, 'এঁরা বাংলাতেই রাজনীতি করবে। কিন্তু বাঙালিদের বিরুদ্ধেই কথা বলবে।'