দিলীপ-সুকান্তের সভার আগে উত্তেজনা দাঁইহাটে, দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-মারমারি

আজ দুপুরে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের কর্মী সভা শুরুর আগেই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। বিজেপি নেতৃত্বদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় কর্মীদের একাংশ। পাশাপাশি নেতাদের মারধরও করে তারা।

Asianet News Bangla | Published : Oct 22, 2021 5:27 PM IST

বিজেপির (BJP) বৈঠক ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman district) কাটোয়ার দাঁইহাটে (Dainhat)। সভা শুরুর আগে গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ উঠেছে। ভাঙচুর থেকে মারামারি সবই হয়েছে সেখানে। এদিকে সেই সময় তখন দলীয় কার্যালয়ে (Party Office) উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) ও বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এই ঘটনা দেখে সুকান্তের মতে, 'এরা কেউ বিজেপির কর্মী নয়'। 

আজ দুপুরে সুকান্ত মজুমদার ও দিলীপ ঘোষের কর্মী সভা শুরুর আগেই দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালানো হয়। বিজেপি নেতৃত্বদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় দলীয় কর্মীদের একাংশ। পাশাপাশি নেতাদের মারধরও করে তারা। দিলীপ ও সুকান্তের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। আর তা শুরুর আগেই কাটোয়া জেলা সাংগঠনিক সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ যখন কর্মী সভায় পৌঁছান তখনই কর্মীদের একাংশ রেগে গিয়ে তাঁর মারধর করতে শুরু করে। 

আরও পড়ুন- ভবিষ্যতে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্যাঁচার ভাণ্ডারে পরিণত হতে পারে, বললেন সুকান্ত

কর্মীদের অভিযোগ, বিধানসভা নির্বাচনে (Assembly Election) হেরে যাওয়ার পর বিজেপি কর্মী সমর্থকরা যখন তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের কাছে মার খাচ্ছে। তখন এলাকায় কৃষ্ণ ঘোষের দেখাই পাওয়া যায়নি। তাঁকে ফোন করেও পাওয়া যায়নি। ফোন বন্ধ করে রেখে দিয়েছিলেন।

আরও পড়ুন- গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক আরও ২, প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েই পুলিশের জালে মিঠু

বিক্ষোভকারীরা আরও জানায়, “এখানে আমাদের রাজ্য সভাপতি ও দিলীপ ঘোষের বৈঠক। আমাদের বলা হয়েছিল সাড়ে তিনটের সময় বৈঠক হবে। কিন্তু চোরের মতো চুপি চুপি ১১টার সময় এখানকার জেলা নেতারা ওই বৈঠক সেরে ফেলতে চাইছেন। কারণ একটাই। এই জেলায় প্রচুর ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীরা ভোটের পর মার খেয়েছেন। পরবর্তী সময়ে বাড়ি ছাড়া হয়েছেন, ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই যে জেলা সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ থেকে শুরু করে জেলা কমিটির কেউ আসেনি। ওরাই আজ চুপি চুপি বৈঠকটাও সেরে ফেলতে চাইছিল। ওদের লক্ষ্য কোনও ভাবেই রাজ্য সভাপতির কাছে যাতে বার্তা না যায়, এ জেলার দলের ভিতর বিক্ষোভ আছে। এর জন্য দায়ী দিলীপ ঘোষ। এই জেলা সভাপতিকে বাঁচানোর জন্যই উনি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে ঘুরছেন। দিলীপ ঘোষের সায় রয়েছে।”

আরও পড়ুন- গড়িয়াহাটে জোড়া খুনের ঘটনায় আটক আরও ২, প্রমাণ লোপাট করতে গিয়েই পুলিশের জালে মিঠু

এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, "আমাদের যাঁরা কর্মী সবাই ঠিক আছেন। কিছু উটকো লোক নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে ভেবে এসেছিলেন দলে। এতেই অনেকে হতাশ হয়ে গিয়েছেন। অনেকে একটু ভয় পেয়েছেন। তবে ভয়ের কিছু নেই। আমাদের বিরোধী দলনেতা, রাজ্য সভাপতি সকলেই তরুণ, লড়াকু। আর আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে এখানে সভাপতি আছেন, তাঁকে লিখিত জানাতে পারেন।"

এদিকে এই ঘটনা বিজেপি কর্মীদের ঘটায়নি বলে বিশ্বাস সুকান্তের। তিনি বলেন, "বিজেপির পতাকা নিয়ে বিজেপির কোনও কর্মীই ভাঙচুর করতেই পারেন না। আমার বিশ্বাস তাঁরা বিজেপির কর্মী নন। এতে তৃণমূলের ইন্ধন আছে। ওদেরই পাঠানো লোক। তবে এঁরা যদি কেউ দলের লোক হন তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে দল ব্যবস্থা নেবে।"

Share this article
click me!