প্রবল বিস্ফোরণে উড়ল দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রের একাংশ, পুজোর মুখে আতঙ্ক ছড়াল বীরভূমে

  • পুজোর মুখে ফের বিস্ফোরণ
  • উড়ে গেল চিকিৎসাকেন্দ্রের একাংশ
  • আতঙ্ক ছড়াল বীরভূমে দুবরাজপুরে
  • তদন্তে নেমেছে পুলিশ
     

Asianet News Bangla | Published : Oct 21, 2020 10:40 AM IST

আশিষ মণ্ডল, বীরভূম:  বোমা মজুত করা ছিল না তো? বিস্ফোরণের তীব্রতায় উড়ে গেল আস্ত দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রের একাংশ। পুজোর মুখে আতঙ্ক ছড়াল বীরভূমের দুবরাজপুর থানার হেতমপুরে। হতাহতের কোনও খবর নেই।  তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: বাড়ি থেকে পালিয়ে দিঘায় আত্মহত্যার চেষ্টা, হাতে-গলায় ব্লেড চালিয়ে হাসপাতালে ছাত্র

স্থানীয় হেতমপুর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত চম্পানগরী গ্রাম। ২০০৮ সালে পঞ্চায়েতের উদ্যোগেই গ্রামে চালু হয় দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্রে। হাসপাতালের একটি ঘরে বসতেন চিকিৎসকরা, আর অন্য় ঘরে রোগী ও তাঁদের পরিবারের লোকেরা। ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে পাশে রয়েছে একটি পুকুর। সেই পুকুরের মালিক জিল্লুর রহমান বলেন, 'রাতে বিস্ফোরণ বিকট শব্দ পাই। ভেবেছিলাম, কেউ হয়তো বোমা ফাটিয়ে পুকুরের মাছ ধরছে। গিয়ে দেখি, বিস্ফোরণে চিকিৎসাকেন্দ্রে অর্ধেকটা অংশ উড়ে দিয়েছে।' তখন অবশ্য কাউকে কিছু জানাননি তিনি। খবর পেয়ে বুধবার সকালে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, চিকিৎসাকেন্দ্র বোমা মজুত করা ছিল। বোম স্কোয়াডকে খবর পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: এক কোভিডে রক্ষে নেই, বৃষ্টি তার দোসর - নিম্নচাপের ভ্রুকুটিতে আরোই ধুয়ে যেতে পারে পুজোর রঙ

স্থানীয় সূত্রে খবর,  লকডাউন জারি হওয়ার পর চম্পানগরী গ্রামের ওই চিকিৎসাকেন্দ্রে আসা বন্ধ করে দেন চিকিৎসকরা। ফলে তাঁদের ঘরটি বন্ধই থাকত। আর অন্য ঘরের চাবি থাকত শেখ হানিফ নামে এক ব্যক্তির কাছে। কিন্তু চিকিৎসাকেন্দ্রে বোমা মজুত করল কে? বছর দেড়েক আগে দুই তৃণমূল নেতার বিবাদে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এলাকায়। দু'পক্ষের বোমাবাজি জখমও হন বেশ কয়েজন। অভিযুক্ত দুই নেতাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। চিকিৎসাকেন্দ্রে একটি ঘরের চাবি যাঁর কাছে ছিল, সেই শেখ হানিফ আবার ওই দুই তৃণমূল নেতাদের মধ্যে একজনের ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে। 

Share this article
click me!