সংক্ষিপ্ত

দুর্গাপূজাতেও থাবা বসিয়েছে কোভিড মহামারি

হাইকোর্টের নির্দেশের প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে দর্শনার্থীদের ঢোকা বন্ধ

কিন্তু পুজোটা আরও খারাপ কাটতে পারে

তিনদিনই ভারী ঝড়-বৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে

 

একে কোভিড মহামারি চলছে। ভাইরাল সংক্রমণের ভয় রয়েছে ষোল আনা। হাইকোর্টের নির্দেশের পর তো ঠাকুর দেখাটাই অনিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। পুজোর এই ম্যাড়মেড়ে ভাবটা আরও বাড়াতে কোভিডের সঙ্গী হচ্ছে নিম্নচাপ। যার প্রভাবে কলকাতা এবং উপকূলীয় বঙ্গে দুর্গাপূজার সময় মাঝেমধ্যেই বজ্রপাত-সহ বৃষ্টি হতে পারে।

দিল্লির মৌসম ভবন থেকে জানানো হয়েছে, বঙ্গোপসাগরের নিচের দিকে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। নিম্নচাপটি ওড়িশা উপকূল ধরে অগ্রসর হয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশ উপকূলে এসে হাজির হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার ফলে সপ্তমী থেকে শুরু করে পুজোর তিন দিনই বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

কলকাতার আঞ্চলিক আবহাওয়া কেন্দ্রের পরিচালক জি কে দাস বলেছেন, নিম্নচাপ ব্যবস্থাটি মূল ভূখণ্ডে না ঢুকে উপকূলবর্তী এলাকাতেই অবস্থান করবে বলে মনে করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার থেকেই বাংলার উপকূলীয় জেলাগুলিতে, বিশেষ করে কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও মেদিনীপুরের মতো জায়গাগুলিতে বৃষ্টি শুরু হয়ে যাবে। শুক্রবার তা ভারি ঝড়বৃষ্টিতে পরিণত হবে পারে। পুজোর তিনদিনই এইসব জেলায় আকাশের মুখ ভার থাকতে পারে। এই ঝড় বৃষ্টির প্রভাবে দুর্গাপূজার সময় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা স্বাভাবিকের নিচে নেমে ৩০ থেকে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর।

পুজোয় বৃষ্টি হতে পরে শুনে একদিনে যেমন অনেকেই মুষরে পড়েছেন, অন্যদিকে আরেক অংশের মানুষ কিন্তু ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনায় বেশ খুশি। বৃষ্টির জন্যই পূজোর সময় ইচ্ছে থাকলেও অনেকে বাড়ির বাইরে বের হবেন না বলে মনে করছে এই অংশ। হাইকোর্টের নির্দেশের পরও পূজায় ভিড় নিয়ন্ত্রণ কতটা হবে তাই নিয়ে অনেকেই সন্দিহান ছিলেন। এদিকে রাজ্যে কোভিড রোগীর সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকরা আশঙ্কা করছেন উত্সবের মরসুমের পর এই সংখ্যা একলাফে অনেকগুণ বেড়ে যেতে পারে। এই অবস্থায় বৃষ্টি হলে অনেকেই প্যান্ডেলমুখী হবেন না, আর কোভিড রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির আশঙ্কাও অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।