অবশেষে ২৩ দিন মৃত বিজেপি কর্মী মদন ঘোড়ইয়ের দেহ হাতে পেল তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে মদন ঘোড়ইয়ের দেহ প্রশাসনের তরফে তুলে দেওয়া হয় পরিবারকে। দেহ পেতেই কান্নায় ভেঙে পড়ে পরিবার। গত ২৬ জুলাই পটাশপুর থানা গ্রেফতার করে মদনকে। এরপর থেকে মদন ঘোড়ই বিচার বিভাগীয় হেফাজতেই ছিল। ১৩ অক্টোবর তাদের জানানো হয় জেলের মধ্যেই মৃত্যু হয়েছে মদনের। পটাশপুরের বিজেপি সংগঠনের সহ-সভাপতির পদ সামলাতেন তিনি। পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য জেল হেফাজতেই পুলিশ অত্যাচার করেছে। যার জেরে মৃত্যু হয়েছে মদনের।
ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় মৃত বিজেপি কর্মী মদন ঘোড়ুইয়ের পরিববার। একইসঙ্গে এসএসকেএমে করা ময়না তদন্ত নিয়েও অখুশি ছিল মৃতের পরিবার। তাই তারা দ্বিতীয় দফার ময়না তদন্তেরও দাবি জানিয়েছিল। ২০ অক্টোবর কলকাতা হাইকোর্ট দ্বিতীয় ময়নাতদন্তের আবেদন মঞ্জুর করে। এরপর শুনানি শেষে ৫ নভেম্বর ফের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এরপরও মদনের মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়নি। ২১ দিন ধরে মর্গে পড়ে ছিল মদন ঘোড়ই-এর মৃতদেহ। তারপর রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আমিত শাহ আসার পরই তার সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান মদনের পরিবার। কলকাতা বিমাবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জে বসেই মদনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মদনের পরিবারকে বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাসও দেন অমিত শাহ।
অমি শাহের সঙ্গে দেখা করার পরই বৃহস্পতিবার রাতে মদন ঘোড়ইয়ের দেহ পরিবারকে দেওয়া হয়। পুলিসি অত্যাচারেই মদনের মৃত্যু হয়েছে, সেই অভিযোগে এখনও অটল তাঁর পরিবার। বৃহস্পতিবার রাতে দেহ পৌছানোর পর স্থানীয় বিজেপে নেতাকর্মীরা মদন ঘোড়ুইকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। বিজেপির পতাকা ও ফুলের স্তবক দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয় মৃত বিজেপি নেতাকে। তবে মদন ঘোড়ুইয়ের মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলন চলবে বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের তরফে।