স্ত্রী-র ফেসবুক সার্ফিং-ই শেষ করে দিল সুখী দাম্পত্য, হাওড়াকাণ্ডে সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য

গৌতম মাইতি, মৌসুমি মাইতি তাদের দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন চ্যাটার্জিহাটের ২ নন্দলাল মুখার্জি লেনের ফ্ল্যাট। গৌতম মাইতি পানশালায় কর্মরত (Working) ছিলেন। রবিবার বন্ধ ফ্ল্যাটে মেলে দম্পতির দেহ।

Web Desk - ANB | Published : Dec 27, 2021 12:49 AM IST / Updated: Dec 27 2021, 09:43 AM IST

ফেসবুকে প্রতারণার খবর প্রায়শই শোনা যায়। ফেসবুকে (Facebook) বন্ধুত্ব করতে গিয়ে বিপদে পড়ার খবর রোজই সংবাদপত্রের পাতায় মেলে। ফেসবুকের আলাপে প্রেম নতুন কথা নয়, এই প্রেম বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি পেয়ে সমস্যায় পড়েছেন অনেকেই। ফেসবুকে প্রতারণায় অন্তঃসত্ত্বার খবর উঠে এসেছে বহুবার। শোনা গিয়েছে, পাচারের ঘটনাও। এবার এই ফেসবুকই হল মৃত্যু কারণ। এমনই ইঙ্গিত মিলছে হাওড়ার চ্যাচার্জিহাটের মৃত দম্পতির বড় মেয়ের কথায়। রবিবার হাওড়ার (Howrah) চ্যাটার্জিহাটের ২ নন্দলাল মুখার্জি লেনের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় দম্পতির মৃতদেহ। সেখানে একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন গৌতম মাইতি ও মৌসুমি মাইতি। তাদের দুই কন্যা। 

গৌতম মাইতি পানশালায় কাজ করতেন। রবিবার বন্ধ ফ্ল্যাটে মেলে দম্পতির দেহ। রবিবার সকালে দুই মেয়ে আঁকার ক্লাসে গিয়েছিল। বাড়ি ফিরে বেল বাজিয়ে ভিতর থেকে সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশীদের জানায়। তারপরই খবর দেওয়া হয় পুলিশে। দরজা ভেঙে মধ্য বয়সী গৌতমের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একই ধরের মেঝেতে পড়ে ছিল মৌসুমি মাইতির নিথর দেহ। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান মৌসুমি মাইতিকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হন গৌতম। 

গৌতম মাইতি ও মৌসুমি মাইতির বড় মেয়ে জানান, ‘মা সারাদিন মোবাইল ঘাঁটত। বাবার এতে আপত্তি ছিল। বাবা সারাক্ষণ মাকে মোবাইল ঘাঁটতে বারণ করত। বলতে মেয়েদের পড়াতে। মা আমাদের সব কাজই করে দিতেন। কিন্তু, মা মোবাইল ঘাঁটত খুবই। এই নিয়ে মা-বাবার খুবই অশান্তি হত। আমরা রবিবার আঁকার ক্লাসে গিয়েছিলাম। এসে বেল বাজাতে কেউ খুলছিল না। তারপরই সকলকে ডাকাডাকি করি। খবর পেয়ে পুলিশ আসে।’ 

আরও পড়ুন: Corona Updates: ফের বাড়ছে করোনা, ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে আক্রান্ত ৫৮৮ জন

আরও পড়ুন: Raising GST on Textiles: অমিতের মন্তব্যে কড়া উত্তর শমিকের, বস্ত্র শিল্পের বর্ধিত জিএসটি নিয়ে দ্বন্দ্ব তুঙ্গে

সে আরও বলে, তাদের বাবা রাত ১১টা নাগাদ ফিরতেন। মা-বাবার মধ্যে ফেসবুক নিয়ে মা-বাবার মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকত। মেয়ের কথায় আন্দাজ করা যাচ্ছে যে, মৌসুমির সঙ্গে কারও সম্পর্ক তৈরি হয়। হতে পারে, সেই নিয়ে তাদের মধ্যে অশান্তি হত। হতে পারে, এদিন এই অশান্তির জেরে মৌসুমিদেবীকে খুন করেন গৌতমবাবু। তারপর তিনি নিজে আত্মঘাতী হয়। তবে, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টের পরই পুলিশ এই নিয়ে কোনও সরকারি মত দেবে বলেই জানা গিয়েছে। 

Share this article
click me!