সংক্ষিপ্ত
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৫৮৮ জন। কলকাতায় (Kolkata) আক্রান্ত হয়েছে ২১৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় (North 24 Pargana) নতুন আক্রান্ত ৮৩ জন। শনিবার করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১.৭১ শতাংশ। যা রবিবার হয়েছে ২.৪১ শতাংশ।
প্রায় দুবছর ধরে করোনার (Corona) প্রকোপে নাজেহাল বিশ্ববাসী। শয় শয় মানুষের প্রাণ কেড়েছে এই রোগ। ভ্যাকসিন (Vaccine) আবিষ্কারের পর সমস্যা কিছুটা কমেছে ঠিকই, কিন্তু করোনা বিদায় নেয়নি। আর এবার প্রকাশ্যে এল করোনা বৃদ্ধির খবর। সম্প্রতি, ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এদিকে বর্ষশেষের উৎসবে গা ভাসিয়েছেন শহরবাসী। রাজ্যের সব প্রান্তে চলছে উৎসব। এই সময় পিকনিক, রেস্তোরাঁয় যাওয়া, পার্টি সবই চলছে। আনন্দ করতে গিয়ে কোভিডের নিয়ম বিধি মেনে চলছেন না আনেকেই। চিকিৎসদের মতে, এর থেকে বাড়ছে সংক্রমণ।
রবিবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রকাশিত রিপোর্ট অনুসারে, গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে ৫৮৮ জন। কলকাতায় (Kolkata) আক্রান্ত হয়েছে ২১৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় নতুন আক্রান্ত ৮৩ জন। কলকাতা সংলগ্ন দক্ষিণ ২৪ পরগনায় আক্রান্ত ৪৮ জন। হাওড়া ও হুগলিতে আক্রান্ত ২৫ ও ৩৭ জন। নদিয়ায় আক্রান্ত ২১ জন। দার্জিলিং-এ আক্রান্ত ১৪ জন। এছাড়াও, রাজ্যে ওমিক্রন আক্রান্ত হয়েছেন পাঁচ জন।
মানুষ শুধু শুরু করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন এমন নয়। করোনা প্রায় হাচ্ছেনও একাধিক ব্যক্তি। গতকাল প্রকাশিত রিপোর্টে (Report) বলছে, শেষ ২৪ ঘন্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে পাঁচ জনের। মধ্য কলকাতায় মারা গিয়েছে ৩ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্য হয়েছে ১৯ হাজার ৭১৬ জনের। রবিবার করোনা মুক্ত হয়েছেন ৫৪৭ জন।
স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুসারে ক্রমে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। করোনা সংক্রমণের হার বাড়ছে নিত্যদিন। শনিবার করোনা সংক্রমণের হার ছিল ১.৭১ শতাংশ। যা রবিবার হয়েছে ২.৪১ শতাংশ। এদিকে সমান তালে চলছে টিকাকরণ। ২৪ ঘন্টায় টিকা পেয়েছে ৪২ হাজার ৫৪৪ জন। মোট টিকা পেয়েছে ১০ কোটি ২২ লক্ষ ৮৫ হাজার ৬৩৫ জন।
তবে, এত সতর্কতা সত্ত্বেও করোনার প্রভাবে নাজেহাল সকলে। প্রায় দু বছর ধরে করোনার জন্য গৃহবন্দী বাচ্চারা। অনলাইনে চলছে ক্লাস। এদিকে কিছু স্কুল খুললেও, সব ক্লাস চালু হয়নি। অন্যদিকে, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না অনেকেই। তা সত্ত্বেও বাড়ছে করোনা। তবে, এই রোগ একবার শরীরে প্রকোপ বসানো অর্থ তা ফুসফুসে খারাপ প্রভাব ফলবে। এছাড়া, অকান্ত করছে একাধিত অঙ্গ প্রত্যঙ্গ। এতদিন সকলে করোনার নিয়ে সতর্ক ছিলেন। কিন্তু, বর্তমানে ওমিক্রন চিকিৎসকর চিন্তা দুগুণ করে দিয়েছে।