দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন, কিন্তু গন্তব্য়ে আর পৌঁছতে পারলেন না! গভীর রাতে কামরা থেকে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল জিআরপি। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহে। কিন্তু কীভাবে মারা গেলেন তিনি? তা স্পষ্ট নয়।
মৃতের নাম কৃষ্ণা দত্ত চৌধুরী। বাড়ি, কলকাতার লেকটাউনে। হাওড়া থেকে ডিব্রুগড়গামী ইন্দ্রাণী এক্সপ্রেসের সংরক্ষিত কামরার যাত্রী ছিলেন কৃষ্ণা। শিলিগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যাচ্ছিলেন তিনি। সহযাত্রীদের বক্তব্য, রাতে কামরায় দীর্ঘক্ষণ অচৈতন্য অবস্থায় পড়েছিলেন বছর পঞ্চাশের ওই গৃহবধূ। ট্রেন যখন মালদহ স্টেশনে পৌঁছয়, তখন খবর দেওয়া হয় জিআরপিতে। ওই যাত্রীকে উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান কর্তব্য়রত জিআরপি আধিকারিকরা। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। হাসপাতালে কৃষ্ণা দত্ত চৌধুরীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: থানা থেকেই আগ্নেয়াস্ত্র চুরি, লালগড়ে গ্রেফতার এসআই সহ চার
কিন্তু চলন্ত ট্রেনে কীভাবে মারা গেলেন তিনি? তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। তবে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান, ট্রেনে সম্ভবত হৃদরোগে আক্রান্ত হন কৃষ্ণা দত্ত চৌধুরী। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে জিআরপি। খবর দেওয়া হয়েছে মৃতের পরিবারকে। এদিকে এই ঘটনায় ট্রেনে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যাত্রীদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, ট্রেনে ভাড়া-সহ অন্যন্য পরিষেবার জন্য খরচ বাড়ছে। কিন্তু নিরাপত্তা দিকে নজর নেই কর্তৃপক্ষের।
উল্লেখ্য দিন কয়েক আগে হুগলির আরামবাগের তালপুর স্টেশন থেকে কিছুটা দুরে চলন্ত ট্রেন শিশুসন্তান-সহ ছিটকে পড়েন এক গৃহবধূ। কিন্তু তাদের সাহায্য করতে কেউ এগিয়ে আসেনি বলে অভিযোগ। এমনকী, দেখা মেলেনি আরপিএফ-রও। শেষপর্যন্ত গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূ নিজেই সন্তানকে নিয়ে পৌঁছন স্টেশনে। আর এবার দূরপাল্লার ট্রেনের সংরক্ষিত কামরায় রহস্য়জনকভাবে মারা গেলেন এক মহিলা যাত্রী।