Police Officer Death: দেড় মাস ধরে নিখোঁজ পুলিশকর্মী, অবশেষে খোঁজ মিলল বেওয়ারিশ লাশের গাদায়

নিহত পুলিশকর্মী রাজারহাট থানায় অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ অক্টোবর দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিন সকালে থানায় যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পার্থ।

দেড় মাস ধরে নিখোঁজ (Missing) ছিলেন। অবশেষে খোঁজ মিলল পুলিশ আধিকারিক পার্থ চৌধুরীর (Partha Choudhary)। তবে জীবিত নয়, মৃত (Death) অবস্থায় তাঁর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। গত কয়েকদিন মর্গে (Morgue) বেওয়ারিশ লাশের (Dead Body) সঙ্গে তাঁর দেহও পড়েছিল। অবশেষে দেহের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। বৃহস্পতিবার (Thursday) শনাক্ত হওয়ার পর তা তাঁর পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়। তবে কী কারণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। 

নিহত পুলিশকর্মী রাজারহাট থানায় (Rajarhat Police Station) অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদে কর্মরত ছিলেন। পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ১১ অক্টোবর দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ষষ্ঠীর দিন সকালে থানায় যাবেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন পার্থ। কিন্তু, তারপর থেকে আর তিনি বাড়ি ফেরেননি। পর পর তাঁকে বাড়ি ফিরতে না দেখে পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হয়। এমনকী, তাঁর সঙ্গে ফোনেও যোগাযোগ করতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। এরপর স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন স্ত্রী। নিখোঁজ ডায়েরির পাশাপাশি সংবাদপত্র ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, পার্থর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

Latest Videos

আরও পড়ুন- কলকাতায় চলন্ত অ্য়াপ ক্যাবের ভিতরেই মহিলার মৃত্যু, আয়নায় চোখ পড়তেই চমকে উঠলেন চালক 

এরপর ২০ নভেম্বর বালি পদ্মবাবু রোডে একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে একটি পচন ধরা দেহ উদ্ধার হয়। জানা যায়, মৃতদেহটি সেখানে প্রায় তিনদিন ধরে পড়েছিল। এরপর ওই দেহটি পাঠানো হয় হাওড়া পুলিশ মর্গে। এদিকে, নিখোঁজ অফিসারের তদন্ত জারি রেখেছিল রাজারহাট থানার পুলিশ। তদন্ত নেমে তারা বিভিন্ন থানায় যে সকল অজ্ঞাত পরিচয়ের মৃতদেহ গুলি রয়েছে তা খতিয়ে দেখতে শুরু করে। এরপর হাওড়া পুলিশ মর্গে থাকা দেহের কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ওই দেহ পার্থর হতে পারে বলে অনুমান করেছিল পুলিশ। তারপরই তাঁর পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। অবশেষে দেহের শনাক্তকরণ সম্ভব হয়। 

পরিবারের অভিযোগ, একজন পুলিশকর্মীকে উদ্ধার করতেই যদি এতদিন লেগে যায়, তবে সাধারণের ক্ষেত্রে কী অবস্থা হয় তা বোঝাই যাচ্ছে। এদিকে কীভাবে মৃত্যু হল ওই সাব-ইন্সপেক্টরের তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। ঘটনার বিষয়ে কোনও মুখ খোলেননি পরিবারের সদস্যরা। এই ঘটনার পরই কোদালিয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিদ্যুৎ বিশ্বাস পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যান।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, খুব বেশিদিন আগে পার্থর মৃত্যু হয়নি। এর ফলে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে এতদিন তিনি ছিলেন কোথায়? স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পার্থ।

Share this article
click me!

Latest Videos

'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results